হামাস সন্ত্রাসী নয়, স্বাধীনতাকামী সংগঠন: এরদোয়ান
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ অক্টোবর ২০২৩, ১২:২২
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় বরং তারা একটি স্বাধীনতাকামী সংগঠন। যারা ফিলিস্তিনের মানুষ ও ভূখণ্ড রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। বুধবার তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় ক্ষমতাসীন একে পার্টির সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে এরদোয়ান এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। এরদোয়ান হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের প্রতিশোধ নেওয়ার সমর্থনে সোচ্চার হওয়া পশ্চিমা শক্তিগুলোরও নিন্দা করে বলেন, ‘ইসরায়েলের জন্য পশ্চিমা অশ্রু প্রতারণার বহিঃপ্রকাশ।’ খবর রয়টার্সের
তুরস্ক পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য। ন্যাটোভুক্ত অধিকাংশ দেশ হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। সম্প্রতি ন্যাটোর অন্যতম সদস্য ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী মাতিও সালভিনি বলেন, তারা (হামাস) সংঘাত প্রশমনে সাহায্য করেনি। এরদোয়ানের মন্তব্যে তাঁর বক্তব্যের সমালোচনা উঠে এসেছে।
এদিকে, তুরস্ক ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের তাণ্ডবের ফলে বেসামরিক মানুষের মৃত্যুর নিন্দা করেছে তবে ইসরায়েলকে সংযতভাবে প্রতিক্রিয়া জানানোর আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি দেশটি গাজায় ইসরায়েলের ভারী বোমাবর্ষণের তীব্র নিন্দা করেছে এবং ইসরায়েল-হামাসের যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাবও দিয়েছে।
তুরস্ক ইতোমধ্যে বেশ কিছু ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। তাদের এই মহৎ উদ্দেশ্যের সুযোগ নেওয়ায় ইসরায়েলকে দোষারোপও করেছেন এরদোয়ান। আনকারা এর আগে ইসরায়েলের সঙ্গে দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্ক মেরামত করার জন্য কাজ করছে। কিন্তু গাজায় চলমান ঘটনার কারণে ইসরায়েলে একটি পরিকল্পিত সফর বাতিল করেছেন তিনি।
এর আগে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। মঙ্গলবার এক ফোনালাপে তারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যেকার ক্রমবর্ধমান সংঘাত এবং এই অঞ্চলে চলমান মানবিক সংকট নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তুরস্কের যোগাযোগ অধিদফতর জানিয়েছে, পুতিনকে এরদোয়ান বলেছেন যে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বর্বরতা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে এবং প্রতি মিনিটে বেসামরিক হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট টুইট করে বলেন, পশ্চিমা দেশগুলোর নীরবতার কারণে গাজার মানবিক সংকট প্রতিরোধে কিছু করা যাচ্ছে না। এ সময় তিনি জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক এই (মধ্যপ্রাচ্য) অঞ্চলে শান্তি নিশ্চিত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।