গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১১
ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তিতে পৌঁছানোর আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে বলে জানিয়েছে আলোচনায় জড়িত একজন সিনিয়র ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি মুক্তির আলোচনা ৯০% সম্পন্ন হয়েছে। তবে, মূল বাধা হিসেবে দক্ষিণ গাজার ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উপস্থিতি রয়ে গেছে। এই এলাকায় ইসরায়েল সেনা থাকা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এছাড়া, গাজা ও ইসরায়েলের সীমান্তে একটি বাফার জোন গঠন এবং সেনা উপস্থিতির বিষয়ে একটি সম্ভাব্য চুক্তি রয়েছে।
ফিলিস্তিনি ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে গাজা-ইসরাইল সীমান্তের দৈর্ঘ্য বরাবর কয়েক কিলোমিটার প্রশস্ত একটি বাফার জোন তৈরির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। ইসরাইল এই এলাকায় সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
এই সমস্যাগুলো সমাধানের সাথে সাথে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তিন ধাপের যুদ্ধবিরতিতে উভয় পক্ষ সম্মত হতে পারে। চুক্তি প্রস্তাাবনায় ইসরাইলি জিম্মিদের পর্যায়ক্রমে মুক্তি দেয়ার কথাও বলা হয়েছে। তিন-পর্যায়ের পরিকল্পনার চূড়ান্ত হলে ১৪ মাসের যুদ্ধের সমাপ্তি দেখতে পাবে বিশ্ব।
এদিকে, হামাস এবং আরও দুটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী বলেছে, ইসরাইলের সাথে গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তি যে কোনোও সময়ের চেয়ে কাছাকাছি, যদি ইসরাইল নতুন শর্ত আরোপ না করে।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) মিশরের রাজধানী কায়রোতে আলোচনার পর হামাস, প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদ ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ ফিলিস্তিন এক বিরল যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর সম্ভাবনা (যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তি) আগের চেয়ে অনেক কাছাকাছি, যদি শত্রুরা নতুন শর্ত আরোপ করা বন্ধ করে দেয়।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে ইসরাইলে বর্বর সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। এতে ৪৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ১ লাখের বেশি মানুষ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।