গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নারী-শিশুসহ নিহত ৩৭, ইয়েমেনে মার্কিন হামলা
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২:১৮

হামাস নিশ্চিহ্ন করার নামে গাজার ভূখণ্ডে ইসরায়েলি আগ্রাসন অব্যাহত রয়েছে। ভূখন্ডটির নিরীহ বাসিন্দাদের ওপর প্রতিদিনই চলছে বর্বর হামলা। মার্কিন মদদে ক্রমেই বাড়ছে ইসরায়েলি এ আগ্রাসনের তীব্রতা; তার সঙ্গে বড় হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার ইসরায়েলির হামলায় আরো ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া সিরিয়াতেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। বুধবার (২৬ মার্চ) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, মঙ্গলবার গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী কমপক্ষে ৩৭ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু এবং নারীও রয়েছেন।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজার দক্ষিণের শহর খান ইউনিসের কেন্দ্রে ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে এক নারী ও এক পুরুষ নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও একজন। অবরুদ্ধ উপত্যকাটির বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের এক আবাসিক ভবনে আরেকটি বিমান হামলায় এক শিশু নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
এছাড়া, উত্তর গাজার জাবালিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে আটজনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে।
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে গত ১৮ মার্চ গাজায় নতুন করে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। মার্কিন মদদে সেই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত ছাড়িয়েছে সাত শত। যাদের মধ্যে অন্তত ৪০০ জনের বেশি নারী ও শিশু রয়েছে। হামাসের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাও হামলায় নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর আগ্রাসন শুরুর পর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলায় গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ৩৩ জনে পৌঁছেছে। এদের মধ্যে কেবল শিশুই ১৭ হাজার। সেইসঙ্গে আহত হয়েছেন ১ লাখ ১৩ হাজারের বেশি।
এ ছাড়া দখলদারদের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনে লাখ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
গত ১৫ মার্চ থেকে ইয়েমেনে প্রতিদিন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৫৩ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।