গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় মারা যেতে পারে ১৪ হাজার শিশু
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২০ মে ২০২৫, ১৯:৪৪

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী টম ফ্লেচার সতর্কতা দিয়েছেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যু হতে পারে। মঙ্গলবার (২০ মে) বিবিসির রেডিও-৪-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন ভয়াবহ কথা বলেন তিনি।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। গত শুক্রবার থেকে দেশটি গাজায় অভিযান আরও জোরদার করেছে। তবে প্রায় দুই সপ্তাহ পর আন্তর্জাতিক চাপের মুখে গাজায় ত্রাণ সরবরাহের অনুমতি দিয়েছে ইসরায়েল। এরপরেও ভয়াবহ তথ্য দিয়েছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রধান টম ফ্লেচার।
তিনি এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, গাজার দুরাবস্থার চরম পর্যায়ে পৌঁছানোর ফলে, যেখানে খাদ্য, ওষুধ এবং অন্যান্য জরুরি ত্রাণের অপ্রতুলতা শিশুদের জন্য বিশেষভাবে প্রাণঘাতী হয়ে উঠেছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) টম ফ্লেচার বিবিসির রেডিও-৪-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, গাজায় মানবিক বিপর্যয় এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে প্রায় ১৪ হাজার শিশু মৃত্যুর মুখে পড়বে। তার এই বক্তব্যে তিনি গাজার জনগণের জন্য ক্রমবর্ধমান সংকট এবং খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার অপ্রতুলতা তুলে ধরেন।
ফ্লেচারের মতে, ইসরায়েল কর্তৃক গাজায় আরোপিত অবরোধ এবং ত্রাণ সরবরাহে বাধার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে, যার ফলে শিশুদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, গাজায় খাদ্য সংকট একটি বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, বিশেষত শিশুদের জন্য। ইসরায়েল গাজার সীমান্ত বন্ধ করে রাখার কারণে সেখানে জীবন রক্ষাকারী পণ্য ও ত্রাণের প্রবাহ অত্যন্ত সীমিত হয়ে গেছে। এই অবরোধের কারণে গাজার ২০ লাখের বেশি বাসিন্দার জন্য খাদ্য, পানি এবং চিকিৎসা সরবরাহ অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
টম ফ্লেচার এই পরিস্থিতি সম্পর্কে বলেন, বর্তমানে গাজার অভ্যন্তরে একটি মারাত্মক খাদ্য সংকট চলছে এবং এটি শিশুদের জন্য বিশেষভাবে ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে চলিত বছরের ১৯ জানুয়ারি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি হয়েছিল। কিন্তু মার্চের শুরুতে দখলদাররা এ চুক্তি ভঙ্গ করে গাজায় আবারও বর্বরতা শুরু করে। এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৩ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও প্রায় দেড় লাখ মানুষ।
ত্রাণের ট্রাক প্রবেশ করতে না দিয়ে ফিলিস্তিনিদের অভুক্ত রাখায় দখলদারদের ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এরমধ্যে সোমবার তারা গাজায় মাত্র পাঁচটি ট্রাক প্রবেশ করতে দেয়। যা পরবর্তীতে আরও সমালোচনার সৃষ্টি করেছে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।