সরকার টিকে আছে জনগণের ইচ্ছায়, কারও দয়ায় নয়: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২০, ২১:০৯

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকারকে সময় দেয়ার বিএনপি কে? সরকার টিকে আছে জনগণের ইচ্ছায়, কারও দয়ায় নয়। ক্ষমতা দেয়া ও টিকিয়ে রাখার মালিক একমাত্র সৃষ্টিকর্তা।

শুক্রবার নিজ সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।

সরকার নাকি অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে এবং অপরাধীদের আতঙ্কে পরিণত হয়েছে— বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো অপরাধ সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনছে। বিএনপি মাঠে নামার আগেই সরকার অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান শুরু করে দেয়। দলীয় পরিচয় অপরাধীদের শাস্তি থেকে রেহাই দিতে পারছে না।’

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় তো দিচ্ছেই না বরং শাস্তির বিধান আরও কঠোর করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান (ধর্ষণের শাস্তি) রেখে, যা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রিসভায় আইন সংশোধনের জন্য প্রস্তাব আকারে উত্থাপন করা হবে।’

‘সরকার কারও হাতে ইস্যু তুলে দেবে না’— জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা ধর্ষকদের বিচারের নামে আন্দোলনে নেমে ভিন্ন ভাষায় কথা বলে, জনসচেতনতা তৈরির পরিবর্তে সরকার পরিবর্তনের কথা বলে, প্রকারন্তরে তারা ধর্ষকদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে সরকার পতন আন্দোলনের কথিত ঘোষণা দিয়ে বিএনপি ধর্ষক এবং ঘৃণ্য অপরাধীদের বাঁচানোর অপপ্রয়াস চালাচ্ছে।

‘বিএনপি কথায় কথায় বলে ধর্ষণকারী ও অপরাধীদের সবাই নাকি সরকারি দলের, অথচ আজ পত্রিকায় এসেছে, গাজীপুরের কাপাসিয়ায় বিএনপির ছাত্র সংগঠনের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়কের ধর্ষণের ভিডিও ছড়ানোর ন্যাক্কারজনক অভিযোগ।’ মির্জা ফখরুল সাহেব এখন কী বলবেন, তা জানতে চান ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, এসব অপরাধীকে বাঁচানোর জন্যই কী বিএনপির সরকারবিরোধী আন্দোলন? কাপাসিয়ার ধর্ষণকারীদের গ্রেফতার করলে ফখরুল সাহেব কী বলবেন, সরকার নির্বিচারে তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে?

এনএফ৭১/আরআর/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top