জবি ছাত্রদল নেতা খুন, প্রেমিকার বয়ফ্রেন্ড মাহির মূল হোতা
স্টাফ রিপোর্টার | ঢাকা | প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩০

পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় টিউশনিতে গিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন (২১) খুন হয়েছেন। প্রেমঘটিত কারণে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে বংশাল থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী বারজিস শাবনাম বর্ষা (১৯) জানিয়েছেন—জোবায়েদকে হত্যা করেছে তার বয়ফ্রেন্ড মাহির রহমান (১৯)। সোমবার (২০ অক্টোবর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে বংশাল থানা পুলিশের একটি সূত্র।
ওই সূত্র জানায়, জোবায়েদকে পছন্দ করতেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বর্ষা। বিষয়টি জানাজানি হলে তার বয়ফ্রেন্ড মাহির ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। বর্ষা পরবর্তীতে মাহির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মাহিরই জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
মাহির রাজধানীর বোরহানউদ্দিন কলেজে উন্মুক্ত বিভাগে পড়াশোনা করেন। তার বাসা বর্ষার একই এলাকায়—পুরান ঢাকার আরমানিটোলায়।
গত এক বছর ধরে জোবায়েদ বর্ষাকে পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান পড়াতেন। তিনি আরমানিটোলার ১৫, নূরবক্স লেনের রৌশান ভিলায় নিয়মিত টিউশনিতে যেতেন। গতকাল রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটের দিকে ওই বাসার তৃতীয় তলায় তাকে খুন করা হয়।
ঘটনার পর রাত ১০টা ৫০ মিনিটে পুলিশ জোবায়েদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মিডফোর্ড হাসপাতালে পাঠায়। একই রাতে, রাত ১১টার দিকে বর্ষাকে বংশাল থানা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয় এবং দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন,
“জোবায়েদ ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল ছিল তার টিউশনের বাসা। আমরা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত করছি।”
এ ঘটনার পর আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বংশাল থানার সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। পাশাপাশি তাঁরা তাঁতীবাজার মোড় অবরোধ করে রাখেন।
জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একই সঙ্গে কুমিল্লা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।