ভাসানচরে পৌঁছেছে রোহিঙ্গারা
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২০, ১৩:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই অবশেষে ভাসানচরে পৌঁছালেন ১৬৪২ জন রোহিঙ্গা। নৌ এবং সেনাবাহিনীর সাতটি জাহাজে করে শুক্রবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে তারা ভাসানচরে পৌঁছান। নতুন আশ্রয়স্থলে যাত্রার পুরো পথে রোহিঙ্গারা ছিল খুশি।
এর আগে, চট্টগ্রামের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প থেকে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা।
দলটিতে নারী-পুরুষ-শিশু মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা রয়েছেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ছয়টি ও সেনাবাহিনীর একটি জাহাজে এই রোহিঙ্গারা যাত্রা করে।
ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য এই রোহিঙ্গাদের বুধবার রাতেই উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উখিয়া কলেজ মাঠের অস্থায়ী ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে প্রথম দফায় ২৫টি বাসে রোহিঙ্গাদের নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা নেয়া হয়। সেখান থেকে আজ সকালে জাহাজে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা হন রোঙ্গিারা।
আরও সাড়ে ৩ হাজার রোহিঙ্গাকে আজ পতেঙ্গা হয়ে ভাসানচরে পাঠানোর হবে। ১ সপ্তাহের মধ্যে এ স্থানান্তর কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।
সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারপারসন জেসমিন প্রেমা জানান, শুধু আগ্রহী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নেয়ার কাজ করছে সরকার এবং ২২টি উন্নয়ন সংস্থা। এসব রোহিঙ্গাকে জাহাজে ওঠার পূর্বে বিভিন্ন ডাটা এন্ট্রি সাপেক্ষে বরাদ্দকৃত আশ্রয়ণের টোকেন ও চাবি হস্তান্তর করা হবে।
তিনি আরও জানান, ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য আধুনিক বাসস্থান ছাড়াও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও খেলার মাঠ গড়ে তোলা হয়েছে। আর অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সেখানে মহিষ, ভেড়া, হাঁস, কবুতর পালন করা হচ্ছে। আবাদ করা হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি।
পরীক্ষামূলকভাবে ধান চাষও করা হচ্ছে। প্রকল্পটিতে যেন ১ লাখ ১ হাজার ৩৬০ শরণার্থী বসবাস করতে পারেন সে লক্ষ্যে গুচ্ছগ্রাম নির্মাণ করা হয়েছে। ১২০টি গুচ্ছগ্রামে ঘরের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০টি।
এনএফ৭১/আরআর/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।