রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

পোস্ট অফিস নয়, যেন স্টোর রুম

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২৪, ১৪:১৮

ছবি: সংগৃহীত

কিছুদিন আগের কথা, আপনজন, প্রিয়জন কিংবা পরিচিতজনের একটি চিঠি পাওয়ার অপেক্ষায় এক সময় অনেকেরই যাতায়াত ছিল পোস্ট অফিসে। চিঠি ছাড়াও বিদেশ অথবা দেশে আপনজনের কাছে টাকা পাঠাতে একমাত্র নির্ভরযোগ্য মাধ্যম ছিল এই পোস্ট অফিস।

বর্তমান বিশ্বায়নের যুগে ই-মেইল, অনলাইন আর মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবাধে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব এখন অনেকটাই কমেছে। তবু এখনো এই পোষ্ট অফিসে জীবন বীমা, সঞ্চয়পত্রে টাকা জামানত রাখা কিংবা জরুরী কাগজপত্র পাঠাতে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হিসেবে এই পোস্ট অফিসের গুরুত্ব অপরিহার্য।

আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগেও পোস্ট অফিসের প্রয়োজনীয়তা ফুরোয়নি। এখনও সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের প্রয়োজনীয় চিঠিপত্র পোস্ট অফিসের মাধ্যমে আদান-প্রদান হয়ে থাকে। সরকারও পোস্ট অফিসের আধুনিকায়নে নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পোস্ট অফিসগুলোকে ডিজিটাল ও ই-সেন্টারে পরিণত করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণ ডিজিটাল ডাকসেবা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন। ই-সেন্টারগুলোতে উদ্যোক্তা নিয়োগের মাধ্যমে যুবসমাজের বেকারত্ব দূরীকরণে ভূমিকা রাখছে।

ব্যতিক্রম হচ্ছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার বাদিয়াখালী ইউনিয়নে অবস্থিত ফুলছড়ি উপজেলাধীন পোস্ট অফিস। সেখানে আধুনিকায়ন তো দূরের কথা, পুরোনো পদ্ধতিতেও কাজ চালানো দুষ্কর হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ণ টিনের চার চালা ঘরে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলছে কার্যক্রম। এ ছাড়া চারদিকে ময়লা-আবর্জনা ফেলায় দুর্গন্ধে নাকে রুমাল চেপে যেতে হয় পোস্ট অফিসে। দীর্ঘদিন ধরে এমন অবস্থা হলেও সংস্কার কিংবা নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। 

বাদিয়াখালী ইউনিয়নে অবস্থিত পোস্ট অফিসটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং চার চালা একটি টিনের ঘর পোস্ট অফিসের নিজস্ব জায়গায় নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর আর সেটি সংস্কার করা হয়নি। নির্মাণ করা হয়নি কোনো নতুন ভবনও। 

বেড়ার ও চালার টিনে মরিচা ধরে ছিদ্র হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চালা দিয়ে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে যায়। কাগজপত্র রাখতে হয় পলিথিনে ঢেকে। দরজা-জানালা ভাঙা। রয়েছে নিরাপত্তারও সমস্যা। যেকোনো সময় ঘরটি ভেঙে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন কর্মরত ০৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। পোস্ট অফিসটি সংস্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে

এসব কারণে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন না সেবা প্রার্থীরা। ভবনটির সংস্কারের জন্য পোস্ট অফিসের উর্ধতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানালেও এখন পর্যন্ত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top