মাদারীপুরে পৃথক দুই ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার দুইজন

মাদারীপুর থেকে | প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২১, ০০:০৭

মাদারীপুরে পৃথক দুই ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার দুইজন

মাদারীপুরের ডাসার ও কালকিনিতে পৃথক দুই ধর্ষণের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বুধবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, ডাসার থানার নবগ্রাম ইউনিয়নের দিলীপ তালুকদার এর ছেলে দিপক তালুকদার (৩০) মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশী এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। ধর্ষিতার পরিবার জানান, বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ঘরে একা পেয়ে মুখে কাপড় বেঁধে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে দিপক।

অভিযুক্ত দিপক ধর্ষিতা কিশোরীর দুঃসম্পর্কের চাচা। ঘটনা জানাজানি হলে কিশোরীর বাবা দিপকের বাবার কাছে ও স্থানীয় গণ্যমান্যদের কাছে বিচার দেয়। বিচার না পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে বাবা ডাসার থানায় অভিযোগ দেয়। পরে ডাসার থানা পুলিশ দিপককে আটক করে।

এদিকে মঙ্গলবার বিকেলে কালকিনি থানায় এগারো বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়। সেই মামলায় নুরুল আফছার সাদ্দাম (৫৫) নামের এক জনকে গ্রেফতার করেছে কালকিনি থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত নুরুল আফছার চট্টগ্রাম জেলার বাশখালি থানার গুনাগাড়ি গ্রামের মৃত: আবুল খায়েরের ছেলে। অভিযুক্ত নুরুল আফছার সম্পর্কে ধর্ষিতার আপন ফুফা। সে এলাকায় বিয়ে করে বসবাস করছেন।

পুলিশ ও অভিযোগে জানাযায়, জুন মাসের ২৯ তারিখ সোমবার রাতে মেয়ের বাবা বাড়ি না থাকায় অভিযুক্ত ঘরে গিয়ে জোড় করে ধর্ষণ করে। কিশোরী চিৎকার দিলে অভিযুক্ত নুরুল আফসার পালিয়ে যায়। মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে চেপে যান ধর্ষিতার পরিবার। পরে কিশোরীর রক্তপাত হলে গোপনে অভিভাবকরা চিকিৎসা দিচ্ছিলেন।

মঙ্গলবার মেয়ে অতিরিক্ত অসুস্থ হয়ে পড়তে প্রথমে কালকিনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। বিষয়টি জানাজানি হলে কিশোরীর বাবা মঙ্গলবার বিকেলে কালকিনি থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ পালাতক অবস্থায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে।

মাদারীপুর পুলিশ সুপার মো. গোলাম মস্তফা রাসেল জানান, মামলা হওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তদের বুধবার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমদের মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য প্রেরণ করা হচ্ছে।


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top