বাগেরহাটে কোরবানিতে খাটিয়ার চাহিদা তুঙ্গে
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২১ জুলাই ২০২১, ০৪:৫৫
ঈদুল আজহার দিনে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে খাটিয়ার গুরুত্ব অপরিহার্য। তাই কোরবানি উপলক্ষে বাগেরহাটে তেঁতুলের খাটিয়ার বেচাকেনা এখন তুঙ্গে।
আকারভেদে এক-একটি খাটিয়া বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫০০ টাকা দরে। বাগেরহাটের স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে কাঠ ব্যবসায়ীরা এই খাটিয়া প্রতিবছর পাঠাচ্ছেন ঢাকাসহ দেশের বড় বড় শহরে।
মঙ্গলবার (২০ জুলাই) শহরের বিভিন্ন করাতকল, কাঠ ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি গ্রামের মুদি দোকানিদেরও মৌসুমি ব্যবসায়ী হিসেবে খাটিয়া বিক্রি করতে দেখা যায়। বিক্রিও বেশ ভালো হওয়ায় ঈদের আগের দিন রাত পর্যন্ত এসব খাটিয়ার বিকিকিনি চলে।
কাঠ ব্যবসায়ী মো. সোহেল বলেন, কোরবানি এলেই তেঁতুলগাছ দিয়ে বানানো খাটিয়ার চাহিদা বেড়ে যায়। এ বছর লকডাউন ও করোনা পরিস্থিতিতে বেশ ভালো চাহিদা ছিল। সাড়ে চার শ টাকা দরে প্রায় ৪০০ সিএফটি (এক সিএফটি সমান ১২ ইঞ্চি/১২ ইঞ্চি) গোল তেঁতুলের কাঠ পাঠিয়েছি ঢাকায়।
এ ছাড়া ৫০০ পিস খাটিয়া পাঠিয়েছি। করোনা পরিস্থিতিতেও মোটামুটি ব্যবসা হয়েছে। শুধু মো. সোহেলই নন, বাগেরহাটের আরও অনেক ব্যবসায়ী ঢাকাসহ বড় বড় শহরে তেঁতুলকাঠ পাঠিয়ে থাকেন কোরবানির ঈদ এলে।
বাগেরহাট শহরের বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম বলেন, কোরবানি ঈদের সময় বেশ কিছু পণ্যের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে তেঁতুলগাছের খাটিয়া অন্যতম। কোরবানির গরুর গোশত বানানোর জন্য আমরা ৮০০ টাকা দিয়ে দুটি খাটিয়া কিনেছি।
বাগেরহাট সদরের কাড়াপাড়া এলাকার মৌসুমি খাটিয়া ব্যবসায়ী মোহন ও আরিফ বলেন, চা ও পানের দোকানের পাশাপাশি কোরবানির সময় আমি তেঁতুলের খাটিয়া বিক্রি করি। কোরবানির এক সপ্তাহ আগে থেকে গৃহস্থরা এই খাটিয়া কেনা শুরু করেন।
তারা আরও বলেন, অনেকে কোরবানির এক দিন আগে কেনেন, অনেকে তারও আগে কিনে রাখেন। তবে এক দিন আগে বেশি বিক্রি হয়। আকারভেদে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা পিস বিক্রি করছি। বছরে একবার কিনতে হয় বলে মানুষে বেশি দরদাম করেন না।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: বাগেরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।