উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২০ আগষ্ট ২০২৫, ১৭:৪৮

ছবি: সংগৃহীত

উত্তরাঞ্চলের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ অবশেষে চালু হয়েছে। আজ বুধবার গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সংযুক্ত এই সেতুর উদ্বোধন করেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া। হরিপুর প্রবেশমুখে ফিতা কেটে সেতুর দ্বার খুলে দেওয়া হলে হাজারো মানুষ দলে দলে সেতুতে উঠে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।

সেতু উদ্বোধনের আগে থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছিল। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মানুষ উপস্থিত হয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। ১১ বছরের জটিলতা ও বিলম্বের পর সেতুটি চালু হলো। সৌদি সরকারের অর্থায়নে এবং চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের তত্ত্বাবধানে নির্মিত এই সেতুর ব্যয় হয়েছে ৮৮৫ কোটি টাকা।

১,৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৯.৬ মিটার প্রস্থের এই পিসি গার্ডার সেতু এলজিইডির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় প্রকল্প। এতে প্রায় ৮০ কিলোমিটার এক্সেস সড়ক, ৫৮টি বক্স কালভার্ট ও ৯টি আরসিসি সেতু নির্মিত হয়েছে। সেতুর ফলে দুই জেলার অন্তত ১০টি বাজার সরাসরি সংযুক্ত হবে এবং কৃষি ও শিল্পপণ্যের পরিবহন সহজ ও সাশ্রয়ী হবে। পর্যটন, অর্থনীতি ও ছোট-মাঝারি শিল্প কারখানার জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে।

যদিও স্থানীয়রা সেতুর নামকরণ নিয়ে কিছুটা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা দাবী করেন, সেতুর স্বপ্নদ্রষ্টা মুক্তিযোদ্ধা শরিতুল্যাহ মাস্টারের নামে নামকরণ করা হোক। তবে সরকার গত ১০ আগস্ট ‘মওলানা ভাসানী সেতু, গাইবান্ধা’ নামে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এখন তিস্তার দুই পারের মানুষ নতুন সম্ভাবনা ও আনন্দের পথে পদার্পণ করছেন।

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top