ফকিরহাটে নদী আটকে ওয়াসার পাইপ, এক বছরেও হয়নি অপরসণ!
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২৬ জুলাই ২০২১, ০০:১১
এলাকাবাসীর আপত্তি অগ্রাহ্য করে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার ব্যস্ততম ভৈরব নদী আটকে লোহার পাত বেরিকেট দিয়ে বিশাল আকৃতির পানির পাইপ স্থাপন করেছ খুলনা ওয়াসা।
ওয়াসা কর্তৃপক্ষের অবহেলা, উদাসীনতা ও অপরিকল্পিত পাইপ লাইন স্থাপনের কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে নাব্যতা সংকট। এ বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হলেও হয়নি পাইপ অপসরণ। ফলে বাড়ছে অসন্তোষ।
জানা গেছে, খুলনা ওয়াসার পানি শোধনাগার প্রকল্পের আওতায় জাইকা ও এডিবির অর্থায়নে নগরীতে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য মোল্লাহাটের মধুমতি নদী থেকে খুলনা ওয়াসা পর্যন্ত একটি বৃহদাকার পাইপ লাইন স্থাপন করা হয়েছে ২০২০ সালের শুরুতে।
ফকিরহাটের বিশ্বরোড সংলগ্ন ভৈরব নদীর ভেতর থেকে নেওয়া পানির এ পাইপ লাইটি এলাকাবাসী মাটির গভীর থেকে নেওয়ার পরামর্শ দিলেও ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত না করে অগভীর স্তরে স্থাপন করেছেন। নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য খননের পর নদীর স্রোত বৃদ্ধি পেলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ পাইপের উপর লোহারপাত দিয়ে রেলিং তৈরি করে নদীতে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে।
রোববার (২৫ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পণ্যবাহী নৌযান পাইপের কারণে আটকে আছে নদীতে। একাধিক এলাকাবাসী জানান, প্রায় বছর খানেক ধরে বার বার কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোন প্রতিকার হয়নি এখন পর্যন্ত। নদীতে নৌযান চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। রাতের আধারে নৌকা চলাচলে যে কোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাছাড়া পাইপে নদীর স্রোতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে পলি জমে নাব্যতা সংকট দেখা দিতে পারে।
ওয়াসার খুলনা বিভাগীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ, পি.ইঞ্জ এর কাছে মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, "ঐ স্থানে নতুন করে মেরামতের জন্য যে সব উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতির প্রয়োজন তা আমাদের কাছে নেই। যন্ত্রপাতিগুলো চীন হতে আসলে পাইপ লাইটি ঠিক করে নৌযান চলাচলের উপযোগী করা হবে। করেনার কারণে এ কাজ আটকে আছে।"
এদিকে, ফকিরহাটবাসীর দীর্ঘদিনের কাঙ্ক্ষিত ভৈরব নদী খনন হলেও পাইপের কারণে তার সুফল ভোগ করতে পারছেনা এলাকাবাসী। নদী পথে নৌযান চলাচল ও নাব্যতা ঠিক রাখতে উক্ত স্থান হতে ওয়াসার পানির পাইপটি দ্রুত অপসারণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে সর্বমহল।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: বাগেরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।