বৃষ্টি ও জোয়ারের জলে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২৯ জুলাই ২০২১, ০৪:৩৪
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে অবিরাম বৃষ্টিতে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন কয়েক শত পরিবার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে শরণখোলা উপজেলায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় গড়ে ৯৩ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বর্ষাকালীন সবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষি বিভাগ। শরণখোলা উপজেলার তালবুনিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, রায়েন্দা বাজারের পূর্ব এলাকা ও বান্ধাকাটাসহ সাউথখালির বিভিন্ন নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এসব এলাকার নিম্ন আয়ের মানুষ রয়েছেন চরম দুর্ভোগে।
এদিকে, বাগেরহাট পৌর শহরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টির পানিতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে অনেক কাচা-পাকা রাস্তাঘাট। ভেসে গেছে চিংড়ি ঘের ও পুকুরের মাছ। তলিয়ে গেছে ফসলী জমি। এছাড়া শরণখোলার বলেশ্বর, মোরেলগঞ্জের পানগুছি, মোংলার পশুর, বাগেরহাটের ভৈরব, দড়াটানাসহ সব নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
শরণখোলা উপজেলার তালতলী এলাকার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা সবুর বয়াতি, আবুল হারেস খানসহ কয়েকজন বলেন, বৃষ্টির ফলে আমরা ঘরে থাকতে পারিনি। ঘরের ভিতরে পানি উঠে গেছে। কখন পানি নামবে বুঝতে-ছিনা। রান্না-খাওয়াও বন্ধ হয়ে গেছে।
চিতলমারী উপজেলার বারাশিয়া বিলের মৎস্য চাষি জাহিদুর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগেই ইয়াসে ঘরবাড়ি তলিয়ে যায়। অনেক টাকার মাছ ভেসে গেছে সেই সময়। এখন যদি ঘের আবার তলিয়ে যায় তবে আমাদের পথে বসতে হবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাটে অবিরাম বৃষ্টিতে আউশ-আমনের বীজতলা পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে শরণখোলা উপজেলায়। এছাড়া জেলায় গড়ে ৯৩ দশমিক ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। যদি এভাবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকে তবে ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর বলেন, সুন্দরবনে পূর্ণিমার জোয়ারের প্রভাবে তিন থেকে সাড়ে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রজনন কেন্দ্র এলাকার পাকা রাস্তায় এক থেকে দেড় ফুট পানি ছিলো।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।