ফকিরহাটে অতিবৃষ্টিতে পানের বরজ ডুবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২১, ০৫:৫৫
পানের বাম্পার ফলন হলেও অতিবর্ষণ ও উচ্চ জোয়ারের প্লাবনে বরজে পানি উঠে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটের পান চাষিরা। এ বর্ষণ ও জোয়ারের তেজ আরো দু’দিন অব্যাহত থাকলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহুগুণে বেড়ে যাবে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৯৩.৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পূর্ণিমার ভরাকাটালের সাথে কয়েক দিনের টানা অতিবৃষ্টি ও সামুদ্রিক নিম্নচাপের ফলে সাগর ফুলে উঠেছে। ফলে নদী খাল ভরা থাকায় বৃষ্টির পানিতে ফকিরহাটের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ডুবে গিয়েছে অন্যান্য কৃষি ফসলের সাথে পানের বরজ। পান চাষ করতে চাষিরা সাধারণত ব্যাংক, এনজিও বা মহাজনের কাছ থেকে ঋণে টাকা নিয়ে থাকে। এখন লাভের আশা ছেড়ে, ঋণশোধ করার দুশ্চিন্তায় সাড়ে তিন হাজারের বেশি পান চাষিরা।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, উপজেলায় প্রায় ৫০০ হেক্টর জমিতে ৩ হাজারের অধিক ছোট-বড় পানের বরজ আছে। পান চাষে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জড়িত প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক। শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পিলজঙ্গ, বাহিরদিয়া, মৌভোগ, শুভদিয়া, বেতাগা, নোয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায় অনেক কৃষকের পানের বরজে পানি ঢুকে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
নলধা-মৌভোগ উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মুহাম্মদ মুহসীন বলেন, বর্তমানে যে অবস্থা আছে, তেমন আরো কিছু সময় বৃষ্টি হলে কৃষকদের সর্বনাশ হয়ে যাবে। বরজ, মাছের ঘের ও কৃষিজমি তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. নাছরুল মিল্লাত বললেন, বৈশ্বিক আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে দুর্যোগ বেড়ে গিয়েছে। কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি যতটা সম্ভব কমিয়ে আনতে এবং বিভিন্ন রকম সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করছে কৃষি অফিস।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: বাগেরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।