চাকরি করেন মেয়ে, প্রক্সি দেন বাবা!
কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশিত: ৯ আগষ্ট ২০২১, ২০:০৩
নাম সিনথিয়া রহমান রিয়া। তবে সবাই তাকে চেনেন ‘রিয়া’ নামে। চাকরি করেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের অফিস সহায়ক পদে। সিনথিয়া রহমান রিয়া অফিস সহায়ক হিসেবে সরকারি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হলেও তার কর্মস্থলে দায়িত্ব পালন করেন না।
নিয়মিত তার হয়ে প্রক্সি দিচ্ছেন তারই বাবা প্রিন্স রহমান। সিনথিয়া রহমান রিয়া চাকরি পাওয়ার পর থেকে প্রায় তিন বছর ধরে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এমন কাজ করে আসছেন।
তবে কর্মস্থলে না গিয়ে ও প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর একদিনেই বাড়িতে বসে ঠিকই করেন তিনি।নিজ কর্মস্থলে না থেকেও বেতন তুলতে ভুলেন না। বিষয়টি নিয়ে অনেকের ক্ষোভ থাকলেও উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তাদের স্নেহধন্য হওয়ায় কেউই মুখ খুলতে সাহস পান না।
অফিস সূত্রে জানা গেছে, চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই সিনথিয়া রহমান রিয়াকে অফিসে দেখা যায়নি। ওই চাকরিতে তার পরিবর্তে প্রকাশ্যে দীর্ঘ ৩ বছর তার বাবা প্রিন্স রহমান প্রক্সি দিয়ে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ অফিসের অন্যান্য কর্মচারী।
এ ব্যাপারে সিনথিয়া রহমান রিয়ার সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি। সিনথিয়া রহমান রিয়ার বাবা প্রিন্সের সঙ্গে কথা হলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, 'আমি এখানে সহযোগিতা করছি মাত্র। এরপর আর করবো না।'
ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আক্তারুজ্জামান মিঠু বলেন, 'কে চাকরি করেন আমি জানি না। তবে প্রিন্স নামে একজন আছেন এটা জানি। মহিলা কর্মচারী আছে এটা আমার জানা নেই।'
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, 'বিষয়টি জানার পর আমি আজকেই উনাকে ডেকে বলে দিয়েছি- এটা করার সুযোগ নেই। তবে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: কুষ্টিয়া
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।