মৌলভীবাজারে বন দখল করে পুকুর খনন
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩১ মার্চ ২০২২, ০৫:৪২
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় সংরক্ষিত বনের জায়গা দখল করে পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
খবর পেয়ে বুধবার (সকালে) সরেজমিনে গিয়ে পুকুর খনন বন্ধ করেন লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের বিট কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন। একই সঙ্গে খননে ব্যবহৃত জিনিসপত্রও জব্দ করেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৫৬৩১.৪০ হেক্টর এলাকা নিয়ে বিস্তৃত লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন এলাকা। ওই বন ভূমিতে হতে যাচ্ছে দেশের তৃতীয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্ক। বেশ কয়েকদিন ধরে বনের মাটি কেটে পুকুর খনন করছেন হায়ছড়ার বাসিন্দা আব্দুর রহমান। এরই মধ্যে সিমেন্টের পিলার দিয়ে চারপাশে জাল বসিয়ে পুকুরের সীমানা নির্ধারণও করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুকুর খননকারী আব্দুর রহমানের বক্তব্য না পাওয়া গেলেও তার ছোট ভাই আব্দুর রহিমের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বলেন, পুকুর খননের খবর পেয়ে বিট কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন এসে কাজ বন্ধ করে দেন এবং কোদাল ও টুকরি নিয়ে যান।
এ বিষয়ে লাঠিটিলা সংরক্ষিত বনের বিট কর্মকর্তা মো. সালাউদ্দিন বলেন, বনের জায়গায় পুকুর খননের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। খননের কাজে ব্যবহৃত কোদাল ও মাটির টুকরীসহ অন্য উপকরণ জব্ধ করি।
তবে সেখানে এখনো পুকুরের চারদিকে জালের বেড়া রয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন এ বিট কর্মকর্তা।
এদিকে এ অভিযানকে লোকদেখানো বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বাসিন্দা জানান, বন এলাকায় ৪০-৫০টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরের মধ্যে কয়েকটি অনেক আগ থেকে থাকলেও নতুন করে অনেকে তৈরি করছেন। নতুন করে যারা বন দখল করে পুকুর খনন করছেন তারা বন বিভাগকে ম্যানেজ করেই সবকিছু করছেন। বন বিভাগ লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করলেও অনৈতিক সুবিধা পেলে তাদের কাছে সবই সম্ভব।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: মৌলভীবাজার বন দখল পুকুর খনন
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।