গায়ে এসে পড়লে আমরা ছেড়ে দেব না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

মিয়ানমারের গোলাগুলিতে কাঁপছে ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত

RAJIUR RAHMAN | প্রকাশিত: ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৯:২৭

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তা বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গ্রুপের মধ্যে তুমুল লড়াই চলছে। তাদের ছোড়া গুলির শিষা ও রকেট লঞ্চার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তে উড়ে এসে পড়ছে। রাতভর অতিমাত্রায় গোলাগুলির কারণে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এপারেও।

শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে থেমে গোলাগুলি হয়ে আসলেও আজ রবিবার ভোর রাত থেকে লাগাতার গোলাগুলি, মটার্রশেল নিক্ষেপ ও রকেট লান্সার বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রুর বিস্তীর্ণ এলাকা। গোলাগুলির রকেট লান্সার উড়ে এসে পড়েছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘুমধুম-তুমব্রু এলাকায় বসত ঘরের উপর।

এ ঘটনায় কোন হতাহত না হলেও আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। অনেকেই আতংক, উৎকণ্ঠায় নির্ঘুম রাত ঘরে বসেই কাটিয়েছে। ভয়ে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন না অভিভাবকরা। এছাড়াও কৃষকরা কৃষি ক্ষেতে যেতে ও দৈনন্দিন কাজ করতেও ভয় পাচ্ছে।

রবিবার সকালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তঘেষা পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকায় পাঠদান বন্ধ রয়েছে ঘুমধুম মিশকাতুল নবী দাখিল মাদরাসায়।

ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, রোববার ভোর থেকে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হচ্ছে। এতে বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে আমাদের ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্তবর্তী এলাকা। এলাকাবাসীদেরকে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, সীমান্তের গোলাগুলির ঘটনায় ঘুমধুম সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পরিস্থিতি অনুকূলে আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে সংযুক্ত মহাসড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সীমান্তের লোকজনকে সতর্ক ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য বলা হয়েছে।

সীমান্তে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি, পুলিশসহ নিরাপত্তা বাহিনী সবাই সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কিছু সদস্য আশ্রয় নেওয়ার ব্যাপারে শোনা যাচ্ছে, তবে বিষয়টি নিশ্চিত করে এখনো বলা যাচ্ছে না।

এদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মিয়ানমার সংকট লেগেই আছে। আরাকান আর্মির সাথে মিয়ানমার আর্মির যুদ্ধ চলছে। আমরা কোনো যুদ্ধে জড়াতে চাই না, যুদ্ধ চাইও না। এটা প্রধানমন্ত্রী সবসময় আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়ে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আমাদের গায়ে এসে পড়বে আর আমরা ছেড়ে দেব। সেটার জন্য আমরা সবসময় তৈরি আছি। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top