ভোটকেন্দ্রে লুডু খেলে সময় পার করছে আনসার সদস্য

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৪, ১৯:৩৪

ছবি: সংগৃহীত

ভোটার শূন্য কেন্দ্রের বাইরে দায়িত্ব নিয়োজিত আনসার সদস্য জাকারিয়া হোসেন ও মিজানুর রহমান বসে লুডু খেলে অলস সময় পার করছেন। আর কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ভোটারের অপেক্ষায় নিরব চাহনী প্রিজাইডিং সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং এজেন্টরা। কিন্তু বেলা পেরিয়ে প্রায় দুপুর গড়ালেও রাজধানীর অদূরে সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দেখা নেই ভোটারের।

মঙ্গলবার (২১মে) সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ঢাকার সাভার উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা যায়।

সাভারে চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মঞ্জুরুল আলম রাজীব নির্বাচিত হওয়ায় ভোটের আমেজে খানিকটা ভাটা পরেছে। তবে ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন করে প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোটার আকৃষ্টে ব্যার্থ হয়েছেন তারা।

সকাল থেকে সাভার ও আশুলিয়ার বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এ নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে প্রায় ১ঘন্টা যাবত কোনো ভোটারই ভোট দেয়নি। এরপর যাও দুই-একটি কেন্দ্রে ভোট পরেছে সেটিও হাতেগোনা কয়েকটি। এরমধ্যে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার ডেন্ডাবর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি কেন্দ্রে সকাল থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একটিও ভোট কাস্ট হয়নি।

এই কেন্দ্র দুটির দায়িত্বে থাকা প্রিজাইডিং অফিসার ওসমান গনী ও মোশাররফ হোসেন মন্ডল জানান, এই দুই কেন্দ্রে ৪০৯৬ জন ভোটারের মধ্যে বেলা ১১টা পর্যন্ত একজন ভোটারও ভোট দিতে আসেননি। তবে তাদের আশা হয়তো বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

অন্যদিকে এই দুই কেন্দ্রের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়োজিত আনসার সদস্য জাকারিয়া হোসেন ও মিজানুর রহমানকে দেখা যায় কেন্দ্রের বাইরে টুল পেতে লুডু খেলায় মশগুল। তাদের কথা হলে তারা জানান, ভোটার শূন্য মাঠ তাই অলস বসে থাকতে বিরক্ত লাগছে সেজন্য লুডু খেলে সময় পার করছি।

মো. মাইদুল নামে অপর আনসার সদস্য জানান, এপর্যন্ত তিনটি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছি কিন্তু এমন ফাঁকা ভোটকেন্দ্র কখনো দেখিনি। এবারের নির্বাচন একটি রেকর্ড হয়ে থাকবে। এই কেন্দ্রে চশমা প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর এজেন্ট মো. জুয়েল বলেন, সকাল থেকেই ভোটারের আশায় বসে আছি কিন্তু তাদেরই দেখা নেই।

সাভার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাহুল চন্দ্র রায় বলেন, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যিনি ছিলেন তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাওয়াও ভোটারদের আগ্রহ খুবই কম।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top