চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৪, ১৫:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

সর্বজনীন পেনশনে ‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিলের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলন করছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষক, কর্মকর্তারা ও কর্মচারীরা। অন্যদিকে, কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ অবরোধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিম নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেন। বাকৃবির শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রায় শতাধিক শিক্ষকের উপস্থিতিতে তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালিত হয়।

অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান বলেন, চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতি। প্রত্যয় স্কিম বাতিল না হলে অথবা বিদ্যমান পেনশন স্কিম থেকে ভালো অন্য কোন স্কিম না আসা পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ‘প্রত্যয় স্কিম’ থেকে প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন বাকৃবির অফিসার পরিষদ।

এদিকে, পুরে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে জব্বারের মোড়ে রেলপথ অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। এতে প্রায় ১ ঘন্টা আটকা থাকে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেন। দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ যাত্রীদের।

চাকরিতে সকল ধরনের কোটা বাতিলের দাবিতে সারাদেশের ন্যায় সোচ্চার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এর প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে বাকৃবি ক্যাম্পাসে একটি প্রতিবাদ মিছিল করেন তারা। পরে জব্বারের মোড় দুপুর ১টা ২০ মিনিট থেকে ২টা ১০ পর্যন্ত রেলপথ অনুরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী মহুয়া কমিটার ট্রেনটি লাল কাপড় দেখিয়ে আটকানো হয়।

শিক্ষার্থীরা বলেন, চাকরিতে আমরা কোন ধরনের বৈষম্য চাই না। কোটা পদ্ধতি চাকরিতে বৈষম্য সৃষ্টি করেছে। প্রকৃত মেধাবীরা চাকরিতে আসুক, এখানে আমরা কোন ধরনের বৈষম্য চাই না। তাই ট্রেন অবরোধ করে আমরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি। রায় যদি আমাদের পক্ষে না আসে তাহলে আরো কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করা হবে।

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে মোহনগঞ্জগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনের সুপারভাইজার সারোয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীরা লাল কাপড় টানিয়ে ট্রেন কামাতে বাধ্য করে। পরে আন্দোলনের মুখে প্রায় এক ঘন্টা ট্রেনটি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে ভোগান্তি পোয়াতে হয় যাত্রীদের।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার উপরিদর্শক দীপক পাল বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি প্রায় এক ঘণ্টা আটকে থাকে। পরে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন তুলে নিলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ট্রেন আটকে থাকায় সাধারণ যাত্রীসহ মানুষকে কিছুটা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top