চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদী ভাঙ্গন, নির্বাচনী এলাকা নিয়ে জটিলতা

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২৬ জানুয়ারী ২০২১, ২৩:৫৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নদী ভাঙ্গন

গত কয়েক বছরে সর্বনাশা পদ্মার ভাঙ্গনে তলিয়ে গেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার পাকা, দূর্লভপুর ও উজিরপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। নদী ভাঙ্গনের ফলে এক ইউনিয়নের সাথে অন্য ইউনিয়নের সীমানা নির্ধারণে দেখা দিয়েছে নানা জটিলতা।

বর্তমানে পরিস্থিতি এমন যে, একটি ইউনিয়নের ওয়ার্ডের প্রায় অর্ধেক মানুষই বসবাস করছেন অন্য ইউনিয়নের। নদী ভাঙ্গন কবলিত পদ্মাপাড়ের এসব সংগ্রামী মানুষের বসবাসে কোন সমস্যা বা আপত্তি না থাকলেও জটিলতা দেখা দিয়েছে নির্বাচনী এলাকা নিয়ে।

অন্যদিকে, সম্ভাব্য মার্চ-এপ্রিলে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। তাই বিষয়টি নিয়ে নির্বাচনী সীমানা নিষ্পত্তির আবেদন করেছে একজন ইউপি সদস্য।

শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ড সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম এর সমাধান চেয়ে গত মঙ্গলবার (২০ জানুয়ারি) আবেদন করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত নির্বাচন না দেয়ার দাবি ইউপি সদস্যের।

এছাড়াও অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, চিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার (ভূমি), উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি দিয়েছেন তিনি।

উজিরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো আবেদন সূত্রে জানা যায়, ২৬ হাজার জনসংখ্যা নিয়ে উজিরপুর ইউনিয়ন পরিষদটি সমৃদ্ধ জনপদ ছিলও। ১৯৯৮ সাল হতে ২০০২ সাল পর্যন্ত চলমান পদ্মানদী ভাঙ্গনের ফলে উজিরপুর, পাকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের বিশাল অংশের ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়। নদী ভাঙ্গনের ফলে শুধু মাত্র উজিরপুর ইউনিয়নের তিন চতুর্থাংশ ফসলী জমি ও ৫০ শতাংশ বাসিন্দা পার্শ্ববর্তী পাঁকা, দূর্লভপুর ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বসবাস শুরু করে।

তিনি জানান, বিধ্বংসী নদী ভাঙ্গলের ফলে সীমানা বিলুপ্তি হয়ে বর্তমানে পাকা ইউনিয়নের ৭নং ও ৯নং ওয়ার্ড, দূর্লভপুর ইউনিয়নের ১,২,৩নং ওয়ার্ড এবং ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ৬, ৭, ৮ ও ৯নং ওয়ার্ডের সীমানা অনিশ্চিত ও বিরোধপূর্ণ রয়েছে। বর্তমানে তারা পূর্বের ওয়ার্ডের ভোটার। নতুন করে আশ্রয় নেয়া এসব ওয়ার্ডের ভোটার তালিকায় তাদের নাম নেই।

সীমানা বিরোধ থাকার কারণে উজিরপুর ইউনিয়নের ভোটারদের নাম হাল-নাগাদ ভোটার তালিকা থেকেও বাদ পড়েছে। সীমানা বিরোধ থাকায় ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এই এলাকার জনসাধারণ। এসব এলাকার সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি হলে নাগরিকরা তাদের সাংবিধানিক অধিকার ফিরে পাবেন এবং ঘোড়াপাখিয়া ও ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের অনেকদিনের সীমানা বিরোধ হতে মুক্তি পাবে।

সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান জানান ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top