ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তায় পানি বৃদ্ধি, ঝুঁকিতে নিম্নাঞ্চল

লালমনিরহাট প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের টানা বর্ষণে আবারও তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ১৮ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটার ওপরে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, রোববার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। দুপুরের পর থেকে পানি দ্রুত বাড়তে থাকে। রাত ৯টার দিকে তা বিপৎসীমার মাত্র ৩ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করে। সোমবার সকালে পানি আরও বেড়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করে।

হঠাৎ পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নদীপাড়ের মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আশঙ্কা, পানির প্রবাহ অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত হয়ে ফসল ও ঘরবাড়ির ক্ষতি হতে পারে। এ কারণে নদীপাড়ের বাসিন্দারা গবাদিপশু ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে শুরু করেছেন।

ডিমলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম জানান, “তিস্তার পানি বেড়েই চলছে। এখনো ঘরবাড়ি ডুবেনি, তবে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।”

পাউবোর ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে তিস্তার পানি ক্রমাগত বাড়ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব জলকপাট খোলা রাখা হয়েছে।

এদিকে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে (১৪–১৭ সেপ্টেম্বর) রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলো—তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমারের পানি আরও বাড়তে পারে। এর মধ্যে তিস্তা ও দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা রয়েছে। এতে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। তাই নদীপাড়ের মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top