রংপুরের তারাগঞ্জে মায়ের হাতে ৫ মাসের কন্যাশিশু খুন
রংপুর প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৩৬

রংপুরের তারাগঞ্জে মায়ের হাতে খুন হয়েছে পাঁচ মাসের কন্যাশিশু। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ওই গ্রামের বাবু লাল ও তুলসী রানী দম্পতির দ্বিতীয় কন্যা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটি কান্নাকাটি করায় দাদি পাতানী রানী সকালে মা তুলসী রানীর হাতে তুলে দেন দুধ খাওয়ানোর জন্য। কিছুক্ষণ পর শিশুটিকে ঘরে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি। এরপর রক্তাক্ত দেহ স্বামী বাবু লালের হাতে তুলে দেন। এসময় শাশুড়ি চিৎকার করলে স্থানীয়রা ছুটে এসে তুলসী রানীকে আটক করে রাখেন।
শিশুর বাবা বাবু লাল বলেন, “কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। মাসখানেক ধরে বউ অসুস্থ ছিল, তাই বাচ্চাটা মায়ের কাছেই থাকত। আজ ভোরে দুধ খাওয়ানোর জন্য বউয়ের হাতে দিই। মেয়েটার কান্না থামল ঠিকই, কিন্তু এভাবে থামবে কোনোদিন ভাবিনি।”
শাশুড়ি পাতানী রানী জানান, “৫-৬ দিন ধরে নাতনী আমার কাছেই ছিল। সকালে কান্না করছিল, তাই বউকে দিই। কিছুক্ষণ পর দেখি ছেলে হাতে গলাকাটা বাচ্চা নিয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে, আর বউ চুপ করে আছে।”
এ ঘটনায় আটক তুলসী রানী গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। প্রতিবেশীদের অনেকে ধারণা করছেন, শারীরিক অসুস্থতা ও মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণেই এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে।
তুলসীর ভাই মানিক মিয়া বলেন, “আমার বোন সন্তানদের ভীষণ ভালোবাসে। কিন্তু অসুস্থ থাকলে মানুষ স্বাভাবিক থাকে না। সুস্থ থাকলে এ কাজ কোনোদিন করত না।”
কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সবিত্রী সেন বলেন, “ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। শুনেছি নিহত শিশুর মা মানসিক রোগে ভুগছিলেন।”
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানান, তুলসী রানীকে আটক করা হয়েছে। তিনি হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। স্বজনেরা জানিয়েছেন, তিনি মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।