রাজশাহীর ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল ইসলাম: পথকুকুর ও পশুপাখিদের মানবিক অভিভাবক
পাবনা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪:৪৩
পাবনায় কুকুরছানা বস্তাবন্দী করে পানিতে ডুবিয়ে মারার নৃশংস ঘটনা দেশের নজর কেড়েছে। সেই পরিস্থিতিতে মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন রাজশাহী মহানগরীর রানিনগর নিবাসী অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী একেএম খাদেমুল ইসলাম।
প্রতিদিন ভোররাত চারটা থেকে শুরু করে তিনি একাই চার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পথকুকুরদের খাবার পৌঁছে দেন। দুই হাতে ব্যাগ ভর্তি ভাত, মাংসের হাড় এবং বিস্কুট নিয়ে তিনি হাঁটছেন, আর পথকুকুররা ঠিক সময়মতো তার অপেক্ষায় থাকে। শীত, গরম বা বৃষ্টির রাত—কোনও দিনই বিরতি নেই।
শুধু কুকুর নয়, ইঞ্জিনিয়ার খাদেমুল কাক, কবুতর, শালিক, ঘুঘু, ফিঙে, কাঠঠোকরা, বাবুই, চড়ুই ও বাচ্চা বিড়ালদেরও খাবার দেন। প্রতিদিন তিনবার ভাত রান্না করেন, এবং খাবারের উচ্ছিষ্ট সংরক্ষণের জন্য ডিপফ্রিজ পর্যন্ত কিনেছেন।
মানবিক উদ্যোগে তিনি শুধু পশুপাখি নয়, মানুষের কল্যাণেও কাজ করেছেন। চাপাইনবাবগঞ্জে চক্ষু হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করেছেন, যেখানে প্রতিদিন শতাধিক গরীব রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়। রাজশাহীতে ন্যাশনাল হাট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল এবং ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য পল্লী আবাসন প্রকল্পও তার একক প্রচেষ্টার ফল।
৬৬ বছর বয়সেও খাদেমুল ইসলাম “ফিকশন ইসলাম” নামে পরিচিত, এককভাবে অবলা পশুপাখিদের সেবা করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, “মানবিক ও সমাজসেবামূলক কাজ করতে পারাটা আমার জীবনের সুখ।”
রাজশাহী মহানগরীর এই অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী আমাদের সমাজে প্রকৃত মানবিকতা ও সহমর্মিতার এক জীবন্ত উদাহরণ হয়ে রয়েছেন।
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।