মুক্তিযুদ্ধে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভূমিকা অপরিসীম: এমপি গোপাল
দিনাজপুর পার্বতীপুর থেকে | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২১, ০২:০০
দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল বলেছেন, নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর সরলতা ও নিরক্ষরতার সুযোগ গ্রহণ করে একটি শ্রেণি তাদের সর্বস্বান্ত করছে।
এছাড়া তাদের সর্বশেষ জমিটুকু থেকেও তাদের উচ্ছেদ করতে চায়। তাই তাদের জমির রক্ষার জন্য সমতল আদিবাসীদের জন্য স্বাতন্ত্র্যে ভূমি কমিশন প্রয়োজন। যা তাদের প্রাণের দাবি।
তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর ভূমিকা জাতির কাছে অবশ্যই চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কেউ রাজাকারের খাতায় নাম নাই। বরং প্রত্যেকেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রণাঙ্গনের সাহসী ভূমিকা পালন করেছেন।
আজ শুক্রবার বিকেলে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বারকোনা গ্রামে কলম সরেন-আলমা সরেন মাঠে জাহের থান উদ্বোধন ভূমি, প্রকৃতি ও সংস্কৃতি বিষয়ক আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মনোরঞ্জন শীল গোপাল এমপি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
বাহা উৎসব উদযাপন কমিটির আয়োজনে ও জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র (জিবিকে), এএলআরডি, কিপিং ফাউন্ডেশন, ইউএনডিপি’র সহযোগিতায় প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ৫ম বাহা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
বাহা উৎসবে উদ্বোধক ছিলেন ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাট্টি। তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত এর মধ্যে সব সময় সু সম্পর্ক বিদ্যমান। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, কোন প্রকার সমস্যা ছাড়াই বাংলাদেশে-ভারত ছিটমহল সমস্যা সমাধান হয়েছে। এটি সম্ভব হয়েছে দুই দেশের সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে যে সুসম্পর্ক রয়েছে তার উদাহরণ হচ্ছে ২০১৯ সালে ১৬ লাখ বাংলাদেশীকে ভিসা প্রদান করা হয়েছে। সকলকে প্রাণঘাতী করোনা থেকে সাবধান থাকতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে, মাস্ক পরিধানের আহবান জানান ভাট্টি। বাংলাদেশ যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে তার জন্য স্বাগত জানান তিনি।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।