হিলি স্থলবন্দরে কমেছে পেঁয়াজের আমদানি,বেড়েছে দাম
হিলি থেকে | প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৩০
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর পেঁয়াজের আমদানি শুরু করে দেশের আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান গুলো। তবে দেশের পেঁয়াজ চাষিদের ক্ষতির কথা চিন্তা করে আমদানিতে আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার। আর এতে করে আগে করা আইপি দিয়ে গেলো মাসে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করে হিলি স্থলবন্দরের বেশ কিছু আমদানি কারক প্রতিষ্ঠান। আমদানির ফলে স্থানীয় খুচরা বাজারে কমে যায় দাম।
প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে। তবে সম্প্রতি আইপি সংকটের অজুহাতে হিলি স্থলবন্দরে কমেছে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি। আর চাহিদার তুলনায় আমদানি কমে যাওয়ায় প্রতি কেজি পেঁয়াজ একলাফে ৮ টাকা বেড়ে ২৭-২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ আমদানি সংকট অজুহাতে রমজানের আগে দাম বেড়ে যাওয়ায় খানিকটা বিপাকে পড়েছেন পাইকার ও সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি স্থলবন্দরের বেশ কয়েকজন আমদানি কারক জানান,রমজান মাসে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক ও কম দামে ভোক্তাদের দিতেই আমরা আগের আইপি দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করি। তবে আইপি আমাদের শেষের দিকে এ জন্য আমদানি কমে যাচ্ছে। যেখানে কয়েকদিন আগে এই বন্দরে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। এখন সেখানে আমদানি হচ্ছে দুটি,তিনটি করে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে সরকার আইপি খুলে দিলে আবারো পেঁয়াজের আমদানি বাড়বে সেই সাথে বাজারে কমে আসবে দাম।
রাসেল নামের এক পাইকার জানান,হিলি স্থলবন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন তিনি। হঠাৎ করে আমদানি কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে। আর দাম বাড়ার কারণে বিপাকে পড়তে হচ্ছে । চাহিদার তুলনায় সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
এদিকে খুচরা বাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা রাশেদুলসহ বেশ কয়েকজন বলেন,রমজানের আগে প্রতি বছর পেঁয়াজের দাম বাড়ে। এবারো বেড়েছে ,পেঁয়াজ কিনতে এসে আমাদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান তারা।
হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে,গেলো দুই দিনে ভারতীয় ৫ ট্রাকে ১শ ২৫ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: হিলি স্থলবন্দর
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।