মঙ্গলবার থেকে মাদারীপুরসহ ৪০ গ্রামে রোজা শুরু
মাদারীপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২১, ১৯:৫৯
সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে দিয়ে হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রোজা রাখছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার হোসাইন।
সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রধান গদীনশীন পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সাথে মিল রেখে দিয়ে হযরত সুরেশ্বরী (রাঃ) এর ভক্ত অনুসারীরা মাদারীপুরের ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) রোজা রাখছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের পীর খাজা শাহ সূফী সৈয়দ নূরে আক্তার
সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রধান গদীনশীন পীর ও আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব খাজা শাহ্ সূফী সৈয়্যেদ নূরে আক্তার হোসাইন বলেন, ‘১২ এপ্রিল সোমবার সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে রমজান মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ায় মঙ্গলবার সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মানুষ রোজা রাখছেন। তাই সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের সাথে মিল রেখে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বর দ্বায়রা শরীফের প্রতিষ্ঠাতা হযরত জানশরীফ শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর মাদারীপুর ও শরীয়তপুর জেলাসহ বাংলাদেশের প্রায় দেড় কোটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান আজ (১৩ এপ্রিল) মঙ্গলবার রোজা রাখছেন।’ করোনা ভাইরাসের কারণে সরকারি নির্দেশনা মেনে তারাবির নামাজ ঘরে বসেই পড়ার জন্য তিনি রোজাদারদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।
সুরেশ্বর দরবার শরীফের মুরিদানারা একদিন পূর্বে রোজা রাখেন এবং একদিন পূর্বে ঈদ উদযাপন করেন। সে হিসেবে মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের চরকালিকাপুর, মহিষেরচর, পূর্ব পাঁচখোলা, জাজিরা, কাতলা, তাল্লুক, খোয়াজপুর ইউনিয়নের চরগোবিন্দপুর, পখিরা, খোয়াজপুর, কুনিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর, কালিকাপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর, হোসনাবাদ, ছিলারচর ইউনিয়নের রঘুরামপুর, আংগুলকাটা, হাজামবাড়ী ও শিবচর উপজেলার বাহেরচর, কেরানীরবাট, কালকিনির রমজানপুর, কয়ারিয়া, রামারপুল, সাহেবরামপুর, আন্ডারচর, খাশেরহাটসহ জেলার ৪০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ মঙ্গলবার থেকে রোজা রাখবেন।
সুরেশ্বর পীরের ভক্ত সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার মোল্লা বলেন, ‘ইসলাম ধর্মের সবকিছুই মক্কা শরীফ হয়ে বাংলাদেশে এসেছে। সুরেশ্বর দরবার শরীফের প্রতিষ্ঠাতা শাহ্ সুরেশ্বরী (রাঃ) এর অনুসারীরা ১৪৮ বছর পূর্ব থেকে সৌদি আরবসহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে রোজা রাখেন এবং ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ উল আযহা পালন করে আসছেন। সে হিসেবে মঙ্গলবার প্রথম রোজা।’
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।