গাইবান্ধার হাট-বাজারগুলোতে নেই স্বাস্থ্যবিধি
গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৩৮
করোনাভাইরাস মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলা ও সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে ‘সর্বাত্মক’ লকডাউন'চলছে। মানুষকে লকডাউন মানাতেও যথেষ্ট তৎপর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। লকডাউনের নবম দিনে গাইবান্ধাসহ সারাদেশেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ রয়েছে। নির্দেশনা অমান্য করে গাইবান্ধার গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলছে বেচাকেনা।
প্রায় আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে হাট-বাজার, দোকান-পাট।ক্রেতাদের ভিড়ও বাড়ছে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মধ্যেই নেই স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোন মেলার চিত্র। সীমিত পরিসরে হাট পরিচালনার কথা থাকলেও জনসমাগম এতটাই যে-হাট কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। সামাজিক দূরত্বসহ কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তোয়াক্কা করছেনা কেউ। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
জেলার ছোট-বড় হাট-বাজারগুলোতে হাটের দিন ছাড়াও প্রতিদিনের বাজারে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধুমছে চলছে কেনাবেচা। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না এবং তাদের মুখে মাস্কও নেই। এরফলে গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে করোনা সংক্রমণের আশংকা। বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) গাইবান্ধার অন্যতম বড় হাট ফুলছড়ি হাটে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষের ঠাসাঠাসি ভিড়। মানুষ স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কেনাকাটা করছে।
এদিকে জেলা ও উপজেলা সদরের মোড়ে মোড়ে চেকপোস্টে পুলিশি তৎপরতা এবং প্রশাসনের মোবাইল কোর্টের অভিযান থাকলেও এখন শহরগুলোর অবস্থাও বেহাল। ব্যবসায়ীরা কোন কিছুর তোয়াক্কা না করেই দোকানের এক শার্টার খুলে তাদের বেচাকেনা অব্যাহত রেখেছে। এতে ক্রেতাদের ভীড়ে শহরে যানজটেরও সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া শহরের রাস্তাগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থায় পরিণত হয়ে যানবাহন চলাচল বৃদ্ধি পাচ্ছে। শহরের রাস্তায় পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহন অবাধে চলাচল করছে। ফলে যানবাহনের এই অবাধ চলাচল বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: গাইবান্ধা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।