স্বাস্থ্যবিধি না মেনে
ভারতীয় ট্রাক চালক-হেলপাররা অবাধে ঘুরছে ভোমরা স্থলবন্দরে
সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০১:০৪
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি না মানায় করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বন্দর সংশ্লিষ্টরা। প্রতিদিন ভারত থেকে আসা শত শত ট্রাক চালক ও হেলপার বন্দরের অভ্যন্তরে ঢুকে যথেচ্ছা ঘুরাঘুরি করায় আতংকিত হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বন্দকর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকসহ বন্দরে নিয়োজিতরা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, দেশের অন্যান্য বন্দরের ন্যায় আজ সোমবার থেকে ১৪ দিনের জন্য ভোমরা স্থল বন্দরে যাত্রী চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হলেও চরম উদাসীনতায় চলছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ভারত থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন পণ্য নিয়ে তিন শতাধিক ট্রাক ঢুকছে বাংলাদেশে। ভারত থেকে আসা এসব ট্রাকের কোনো সেনিটাইজ করা হচ্ছেনা। এমনকি ট্রাকের চালক ও হেলপারের জন্যও কোনো ধরনের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে। এ সমস্ত ট্রাক চালকরা বন্দরের মধ্যে ট্রাক রেখে অবাধে ঘুরছে যত্রতত্র। খাওয়া দাওয়া করছে স্থানীয় হোটেল গুলোতে। আর এসব ট্রাক থেকে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করেই মালামাল নামাচ্ছে স্থানীয় শ্রমিকরা। ফলে করোনা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে শ্রমিকসহ ব্যবসায়িরা। তবে এসবের দায় নিতে রাজি হচ্ছেনা কোনো বিভাগই। কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করেই কার্যক্রম পরিচালনা করায় চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে বন্দর ব্যবহারকারী ও স্থানীয়রা। শ্রীঘ্রই দেশের সর্বদক্ষিণের জনপদ ভোমরা স্থল বন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা না করলে করোনা সংক্রমণ দেশ ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছে সাতক্ষীরা বাসী।
ভোমরা স্থল বন্দরের মেডিকেল ইনচার্জ আব্দুস শহিদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ভোমরা স্থল বন্দরে একটি মেডিকেল টিম নিয়োজিত রাখলেও তাদের পক্ষ থেকে পন্যবাহি ভারত থেকে আসা ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপারদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে তারা সেখানকার ব্যবস্থাপনা ঘাটতি থাকার কারন উল্লেখ করেন।
ভোমরা স্থল বন্দর ইমিগ্রেশনের ইনচার্জ বিশ্বজিত সরকার জানান, ইমিগ্রেশনের মধ্যে একটি থার্মাল স্ক্যনার রয়েছে। যার মধ্যে দিয়ে কেউ গেলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তার শরীরের তাপমাত্রা দেখা যায়। সেটি মূলত: পাসপোর্ট যাত্রীদের জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে পাসপোর্ট যাত্রী আসা যাওয়া বন্ধ থাকায় থার্মাল স্ক্যনারটি এখন ব্যবহার হচ্ছেনা।
ভোমরা স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মনিরুল ইসলাম জানান, অচিরেই স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করা ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।