অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে লাচ্ছা সেমাই তৈরি ও বিক্রির হিড়িক
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১, ২২:৪২
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পবিত্র মাহে রমজান ও আসছে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত লাচ্ছা সেমাই তৈরি এবং বিক্রি করা হচ্ছে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য তৈরি বন্ধে প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা না থাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জের অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন স্থানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং দিয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছে লাচ্ছা সেমাই। শিবপুর ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের মেহেদুল ইসলাম, চকেন্দাহার গ্রামের বিপুল, রাজু, হরিরামপুর নাকাই বাজারের পাশে বাবলু, পৌরশহরের বটতলীতে আব্দুর রাজ্জাক, সোনারপাড়াসহ বিভিন্ন স্থানে লাচ্ছা তৈরির কারখানা স্থাপন করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল উপকরণ দিয়ে লাচ্ছা সেমাই তৈরি করে আসছে। সেই সাথে লাচ্ছা সেমাইয়ে মিশানো হচ্ছে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রং।
এছাড়া উপজেলার আরও ৫/৭টি পয়েন্টে অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে এবং পাম ও পোড়া তেলে ভেজে তৈরি করা হচ্ছে নিম্নমানের রং মিশ্রিত লাচ্ছা সেমাই। এসব লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাটবাজারে দেদারছে। ক্ষতিকারক রং মিশ্রিত ও ভেজাল খাদ্য দ্রব্য খেয়ে লোকজন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। আর লাচ্ছা তৈরির খামি করার সময় হাত পায়ের কসরত, শরীরের ঘাম এমনকি লাচ্চা ভাজার সময় তেলের ঝাঁজে হাঁচি-কাশির ড্রপলেট তো আছেই।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডা. মাজেদুল ইসলাম বলেন, ভেজাল খাবার খেলে পেটের নানা পিড়াসহ রং মিশ্রিত খাবার খেলে ক্যান্সার এর মত জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
এ ব্যাপারে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সাঈদ জানান, শীঘ্রই ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও বিক্রি বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।