কুষ্টিয়ায় লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ
কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশিত: ১ জুন ২০২১, ২১:৪৪
করোনা রোগী বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে কুষ্টিয়াকে ইতিমধ্যে ‘লকডাউন’ করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সোমবার দুপুরে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানিয়েছেন, স্থানীয় প্রশাসন সিভিল সার্জন ও প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে লকডাউনের ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিকেলে সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মঙ্গলবার সকালে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা হবে। ওই সভা থেকে লকডাউনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এদিকে রোববার জেলায় ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এক দিনে সর্বোচ্চ ৩৩ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর এটাই কুষ্টিয়ায় সর্বোচ্চ শনাক্তের সংখ্যা। এদিন করোনায় একজন মারাও গেছেন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল সূত্র বলছে, হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় শয্যাসংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। বর্তমান করোনা ওয়ার্ডের পাশেই ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। সেখানে ৩০টি শয্যা রয়েছে। সেখানে আরও শয্যা সংযোজন করা হচ্ছে।
এ ছাড়া সন্দেহভাজন রোগীদের জন্য আগে থেকেই ২০টি শয্যা রয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশনে শয্যা রয়েছে ৩৪টি, সেখানে রোগী ভর্তি আছেন ৩২ জন। মাত্র দুটি শয্যা ফাঁকা আছে। এই ওয়ার্ডে ১০টি শয্যার সঙ্গে দুটি করে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের পয়েন্ট রয়েছে। এর মাধ্যমে একসঙ্গে ২০ জন রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ করা যায়। কেন্দ্রীয় অক্সিজেনে ছয় হাজার লিটার অক্সিজেন মজুত থাকে, যা দিয়ে স্বাভাবিক সময়ে এক সপ্তাহ চলে।
আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আরও ২০টি শয্যায় কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহের কাজ চলমান। পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুত কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ছোট বড় ৩৪৭টি সিলিন্ডার রয়েছে।
এতে সর্বনিম্ন ৬০০ লিটার থেকে সর্বোচ্চ ২ হাজার লিটার পর্যন্ত অক্সিজেনের জোগান দিতে পারে। করোনা ওয়ার্ডে বর্তমানে ১০ থেকে ১২ জনকে সার্বক্ষণিক অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। বেশি মাত্রায় অক্সিজেন সরবরাহের ১৪টি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা (এইচএফএনসি) রয়েছে। তবে তিনটি নষ্ট।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, আরও পাঁচটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা ঢাকা থেকে আনা হচ্ছে। এ ছাড়া যদি কেউ হাসপাতালে স্বেচ্ছায় সরবরাহ করতে চান, সেটাই সাদরে গ্রহণ করা হবে।
কুষ্টিয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৯৩৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪ হাজার ৯৪৭ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১১১ জন। গত ১০ দিনে ১৮৭ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
বিষয়: কুষ্টিয়া করোনা মন্ত্রিপরিষদ লকডাউন
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।