• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


দোয়ারাবাজারে যৌতুকের তাড়নায় সংসার ছাড়া এক গৃহবধূ

দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ২ জুন ২০২১, ২৩:৫৪

দোয়ারাবাজারে যৌতুকের তাড়নায় সংসার ছাড়া এক গৃহবধূ

দোয়ারাবাজারে যৌতুকের তাড়নায় স্বামীর অত্যাচারে ঘর ছাড়া শারমিন নামের এক গৃহবধূ। এক বছরের শিশু কন্যা নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সংসার টিকাতে পারেননি। অবশেষে সংসার ফিরে পেতে আদালতের দারস্থ হয়েছেন শারমিন আক্তার।

তিনি উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের পেকপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ মিয়ার কনিষ্ঠ কন্যা।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালে শারমিনের বিয়ে হয় একই উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের আলীপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর পুত্র আলআমিনের সাথে। তাদের প্রায় তিন বছরের দাম্পত্য জীবনে ফুটফুটে এক শিশু কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তার বয়স বর্তমানে ১ বছর। দাম্পত্য জীবনের শুরুতে আলআমিনের সংসারে অভাব অনটন থাকায় শারমিন তার বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা ব্যবসার জন্য স্বামীকে এনে দেয়। গত ১ বছর দাম্পত্য জীবন ভালো চললেও বাকি দুই বছরই যৌতুকের দাবিতে স্বামীর অত্যাচার ও নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠে ওই গৃহিণী।

তারপর দিন যত যেতে থাকে যৌতুকের দাবিতে তার ওপর বাড়তে থাকে অত্যাচারের মাত্রা। এক পর্যায়ে স্বামী স্থানীয় মহব্বতপুর বাজারে তার ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারণ করার জন্য শশুড়ালয় থেকে আরো তিন লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এই টাকা দিতে অক্ষমতা প্রকাশ করায় তার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন আরো বেড়ে যায়। সম্প্রতি সে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় তিন লাখ টাকা না এনে দিলে শারমিনকে আর সংসারে রাখবেনা এবং বেধড়ক মারপিট করতে থাকে।

এ ঘটনায় অসহ্য হয়ে অন্যত্র প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নেন শারমিন। যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক অত্যাচার নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে পাড়া প্রতিবেশীর দারস্থ হলে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সামাজিক বিচার সালিশে যৌতুক ছাড়া তাকে আবারও স্বামীর সংসারে নিয়ে যেতে চাপ দেওয়া হলেও স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন শারমিনকে সংসারে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানায়।

এদিকে স্বামীর কথামতো যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় শারমিনকে ঘর থেকে বের করে দেয়। এরপর থেকেই গত প্রায় একমাস যাবৎ বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন শারমিন আক্তার। উল্টো যৌতুক লোভী স্বামী মিজান মিয়া নামে জনৈক ব্যবসায়িক পার্টনারকে দিয়ে শারমিন বয়োবৃদ্ধ পিতা সিরাজ মিয়াসহ আত্মীয়স্বজনকে জড়িয়ে আদালতে একটি হয়রানিমূলক লুটপাটের মামলা দায়ের করে।

বর্তমানে বাবার বাড়িতে একমাত্র শিশু কন্যা নিয়ে সংসার ছাড়া কেঁদে কেঁদে শারমিনের দিনরাত কাটছে। জানতে চাইলে সংসার ছাড়া শারমিন আক্তার কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে প্রতিবেদক বলেন, 'আমার একটি কন্যা শিশু আছে। আমি বিয়ের পর থেকেই স্বামীর সংসার করতে চেয়েছি।

কিন্তু যৌতুক লোভী স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের অত্যাচারে সংসার ছেড়ে বাবার বাড়িতে আসতে বাধ্য হয়েছি। তার ব্যবসায়িক পার্টনারকে দিয়ে আমার পিতা, বোন জামাই ও তার ছোট্ট ভাইকে জড়িয়ে লুটপাটের সাজানো মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমি স্বামীর সংসারে ফিরতে চাই এবং অত্যাচার নির্যাতন থেকে বাঁচতে চাই।'

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top