আমবাগানে শিক্ষার বাতি জ্বালিয়েছে যূথী

কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশিত: ৬ জুন ২০২১, ২১:৩৫

করোনায় আমবাগানে শিক্ষার বাতি জ্বালিয়েছে কুমারখালীর কলেজ ছাত্রী যূথী

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পড়াচ্ছেন এক কলেজ ছাত্রী। আলোকিত সেই কলেজ ছাত্রীর নাম জেসমিন যূথী। তিনি উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত মনোহরপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের অনার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী।

এলাকাবাসী জানায়, এখানকার দুস্থ, অসহায়, মেধাবী ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীরা যেন পিছিয়ে না পড়ে জ্ঞানার্জনে। সেই লক্ষ্যে আমাদের জেসমিন যূথী নিজ উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের পড়াচ্ছেন। স্কুল বন্ধ থাকায় এখানে নিয়মিত পাঠদান করতে পেরে অনেক খুশি শিক্ষার্থীরা। যূথীর আম বাগানে প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ জন শিক্ষার্থী আসে পড়াশোনা করতে।

শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনায় স্কুল বন্ধ। বাড়িতে টিভি ও স্মার্ট ফোন নেই। তাছাড়া টিভিতে পড়তে ভাল লাগেনা। এখানে যূথী আপা পড়ায়। আমরা প্রতিদিন পড়তে আসি। খুব ভাল লাগে।

শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা বলেন, করোনার কারনে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ। সন্তানেরা ঘরে বসে থাকায় পড়া শোনায় অমনোযোগী হয়ে পড়ছিল। তাদের পড়াশোনার প্রতি অনীহা হয়ে পড়ছিল।আমাদের যূথী এখানে নিয়মিত পড়াশোনা করাচ্ছে। ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার প্রতি ভালো আগ্রহ ও মনোযোগ বেড়েছে। এতে আমরাও অনেক খুশি।

আলোকিত এই কলেজ ছাত্রী জেসমিন যূথী বলেন, করোনা আর লকডাউনে দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। ফলে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের আলো নিভে যাচ্ছিলো। তাই নিজ উদ্যোগে এলাকার সকল শিক্ষার্থীদের একত্রে করে নিয়মিত ফ্রি তে পাঠদান করাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, অসহায়, গরিব ও দুঃখীদের পাশে দাঁড়াতে চাই, ভবিষ্যতে শিক্ষার উন্নয়ন কাজ করতে চাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, করোনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইনে পাঠদান অব্যাহত রয়েছে। যাদের স্মার্ট ফোন, টিভি ও নেট ব্রাউজার নেই, তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোন অবস্থাতেই একজন কলেজ ছাত্রী গাছের নিচে বাচ্চাদের এভাবে পড়াতে পারেনা। এটা ঝুঁকিপূর্ণ।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১

 



বিষয়: কুষ্টিয়া


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top