শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

৩৬ জেলায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১০ জুন ২০২১, ১৭:৩৬

৩৬ জেলায় ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনা

দেশে করোনার ভারতীয় ধরণ শনাক্তের পর আশঙ্কাজনকহারে বেড়েই চলেছে আক্রান্ত আর মৃতের সংখ্যা। বিশেষ করে অন্যান্য জেলার চেয়ে সীমান্তের জেলায় সংক্রমণ শনাক্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। করোনার ‘হটস্পট’ রাজধানী ঢাকা ছাড়িয়ে এখন দেশের ৩৬ জেলাতে সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

এ ঝুঁকির মধ্যে একটি জেলা সাতক্ষীরায়। গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলায় সর্বোচ্চ সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ৫৯ দশমিক ৩৪ শতাংশে। গত শনিবার থেকে জেলায় লকডাউন চললেও পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে না।

ঈদে অনেক মানুষ ঢাকা থেকে নিজ নিজ গ্রাম এলাকায় গিয়েছিলেন। লোকসমাগমও আগের চেয়ে বেশি হয়েছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা সংক্রমণে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার এটি একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে দেখছেন। তারা ঈদের আগেই এই শঙ্কার কথা বলেছিলেন। এর সঙ্গে করোনার ভারতীয় ধরনের (ভেরিয়েন্ট) কোনো যুক্ততা আছে কি না, তা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অবশ্য এরই মধ্যে দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে। ঈদের পর সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে তুলনামূলক সংক্রমণও বেশি বাড়তে দেখা যাচ্ছে। আক্রান্তদের কারও কারও সম্প্রতি ভারত সফরের ইতিহাস আছে।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১৫টি জেলায় ৩১ মে থেকে ৬ জুন এই এক সপ্তাহে আগের সপ্তাহের (২৪–৩০ মে) তুলনায় রোগী বৃদ্ধির হার ১০০ ভাগ বা তার বেশি ছিল। এগুলোর আটটিই ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা। এর বাইরে আটটি জেলায় রোগী বৃদ্ধির হার ৭৫ থেকে ৯৯ শতাংশের মধ্যে।

এছাড়া মাগুরা, নড়াইল, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, টাঙ্গাইল, পিরোজপুর ও নোয়াখালীতেও এই সময় রোগী বৃদ্ধির হার শতভাগ কিংবা তার চেয়ে বেশি ছিল। শতভাগ বা তার চেয়ে বেশি হারে রোগী বেড়েছে এমন সীমান্তবর্তী জেলাগুলো হলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, কুড়িগ্রাম, জয়পুরহাট, রাজশাহী, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা ও খাগড়াছড়ি। আর রোগী বৃদ্ধির হার ৭৫ থেকে ৯৯ শতাংশ ছিল সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, ঝিনাইদহ, নওগাঁ, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, ফেনী, শেরপুর ও কুষ্টিয়া।

ঊর্ধ্বমুখী এ সংক্রমণে আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামগ্রিক কার্যক্রম গতিশীল রাখতে অবশ্যই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান-আইইডিসিআরের উপদেষ্টা ড. মোশতাক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, যেখানে শনাক্তের হার বেশি সেখানে যাতায়াত-চলাচল সীমিত রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রান্তিক মানুষের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top