বাগেরহাটে কিশোর হত্যায় ২ বন্ধু, সাত বছর সাজা ভোগ উন্নয়ন কেন্দ্রে
বাগেরহাট থেকে | প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২১, ০৭:৫৮
বাগেরহাটের মোংলায় এক কিশোরকে হত্যার দায়ে দণ্ডিত দুই কিশোরের সাত বছর কারাদণ্ড হয়েছে; যারা সাজা ভোগ করবে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে। মঙ্গলবার (২২ জুন) বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. নূরে আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা বয়সে ১৮ বছরের নিচে হওয়ায় তাদের সাজা ২০১৩ সালের শিশু আইনে হয়েছে। এই আইনে কোনো শিশু মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় কোনো অপরাধে দোষী প্রমাণিত হলে শিশু-আদালত তাকে অনূর্ধ্ব দশ বছর এবং ন্যূনতম তিন বছর আটকাদেশ দিয়ে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আটক রাখার আদেশ দিতে পারবে।
মামলার নথির বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রণজিৎ কুমার মন্ডল বলেন, খুনের শিকার ১৮ বছর বয়সী কিশোর ও দণ্ডিত দুজন [প্রত্যেকে ১৭ বছর বয়সী] পরস্পর বন্ধু। এরা তিনজনই মাদকাসক্ত।
“ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ মে রাত ৮টার দিকে মাদকসেবন করা নিয়ে নিহত হওয়া কিশোরের সঙ্গে দণ্ডিতদের দ্বন্দ্ব হয়। এর জেরে তারা ওই কিশোরকে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধে হত্যা করে নৌবাহিনীর ক্যাম্পের বেড়িবাঁধ এলাকায় মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান।”
রণজিৎ মন্ডল জানান, পরদিন পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ৩০ মে নিহতের বাবা অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্তভার পেলে তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই এই দুই কিশোরকে [দণ্ডিত] গ্রেপ্তার করেন; পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যার কথা স্বীকার করেন। ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
“দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় এই দুই কিশোরের প্রত্যেককে সাত বছরের আটকাদেশ দেওয়া হয়। আসামিরা শিশু হওয়ায় ২০১৩ সালের শিশু আইনের ৩৪ ধারা মতে সাত বছর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেয় আদালত।”
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিধান চন্দ্র মন্ডল। রায় ঘোষণার পর বিধান চন্দ্র মন্ডল বলেন, “আমার মক্কেল মামলায় ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। রায়ের কপি হাতে পেলে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: বাগেরহাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।