কুষ্টিয়ায় একমাসে করোনায় ৯৯জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২১, ০৪:৪৮
কুষ্টিয়ায় মে মাসের শেষ সপ্তাহে করোনার চিত্র ছিল স্বাভাবিক। সবকিছু ঠিকমতো চলছিল। হাসপাতাল গুলোতে আইসোলেশনে রোগী ভর্তি ছিলেন সব মিলিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন। চিকিৎসক, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবকেরা তাঁদের সেবা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে সেই চিত্র বদলে গেল। গত এক মাসজুড়ে করোনার দাপটে নাজেহাল হলো কুষ্টিয়া।
জুনের শুরুর দিকে হু হু করে বাড়তে থাকে রোগী। মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হতে থাকে। প্রতিদিন চলে রোগী শনাক্তের রেকর্ড ভাঙা আর গড়া। জুনের মাঝামাঝি থেকে জেলায় চলাচলে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়। শেষ সপ্তাহে আসে লকডাউন। কিন্তু তত দিনে জেলার আনাচে কানাচে করোনার ঢেউ আছড়ে পড়ে।
বুধবার মাসের শেষ দিনে জেলায় এক দিনে সর্বোচ্চ ৮৩০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩২৪ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। নমুনা অনুপাতে শনাক্তের হার ৩৯ দশমিক ৩ শতাংশ। মৃত্যু হয় ৯ জনের।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির দেওয়া জুন মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত ৮ হাজার ৫০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে জুন মাসের ৩০ দিনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৭২ জনের। এখন পর্যন্ত করোনায় মোট মারা গেছেন ২১৫ জন, এর মধ্যে জুন মাসে মারা গেছেন ৯৯ জন।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এ এস এম মুসা কবিরের মতে, ‘এখন আর কোনো দোষারোপ না করে কাজে মনোযোগ দিতে হবে। গ্রামের প্রতি ঘরে ঘরে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবাইকে খোঁজ নিতে হবে। কারও জ্বর, ঠান্ডা, কাশি জাতীয় উপসর্গ দেখা দিলেই তাঁকে আইসোলেশনে রাখতে হবে। দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসা নিতে যত দেরি হবে, মৃত্যুর ঝুঁকি তত বাড়বে।’
জেলার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জুনে করোনার দাপট বাড়বে, এমন একটা ধারণা পাওয়া গিয়েছিল। তবে এতটা হবে, সেটা কল্পনার বাইরে ছিল। মানুষকে সচেতন করা ছাড়া আর করোনা মোকাবিলার কোনো পথ নেই।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: কুষ্টিয়া
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।