ব্র্যান্ডের নকল পানীয় তৈরি কারখানা থেকে গ্রেফতার ৬
সুজন হাসান | প্রকাশিত: ৯ মে ২০২৪, ১৬:৫৯
দেশীয় নামিদামি ব্র্যান্ডের মোড়কে নকল পানীয় তৈরি হচ্ছিল। এসব পানীয়তে ব্যবহার হতো বিষাক্ত কেমিকেল। যা শিশু-কিশোরসহ সব বয়সী মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ছিল হুমকি। এসব ভেজাল পানীয় তৈরির অভিযোগে ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন কারখানার মালিক মো. আনোয়ার হোসেন (৩৮), ডিলার শাহ নেওয়াজ খান (৩৩), বিক্রয়কর্মী মোরশেদুল ইসলাম (৫১), উৎপাদনকারী সবুজ মিয়া (২৩), উৎপাদনকারী মো. আরিফ (২৩) এবং নকল টেস্টি স্যালাইন তৈরির কারখানার মালিক হানিফ (৩০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে জব্দ করা হয় এক হাজার লিটারের পানি রাখার রিজার্ভ ট্যাংকি, তিনটি ফিল্টার, একটি অ্যারো মেশিন, এক হাজার লিটারের বিশুদ্ধ পানির রিজার্ভ ট্যাংকি, ৫০০ লিটার পানির হিটার মেশিন, কেমিকেল মিক্সার মেশিন, বোতল ফিলিং মেশিন, ৩০ কেজির কোকোনাট নাটা লিকুইড, আর্টিফিশিয়াল ফ্লেভার, নকল স্টিকার ও লেভেলযুক্ত বোতল, নকল স্টিকার সম্বলিত বোতল, প্যাকেটজাত করার হিট মেশিন এবং পানি মাপার মেশিন।
ডিবি জানায়, নকল পানীয় কারখানার মালিক আনোয়ার হোসেন। তিনি ফেসবুকে ২৫-৪০ শতাংশ ছাড়ে ড্রিংকো, ফ্রুটো ও ম্যাঙ্গো ফ্রুটি জুস বিক্রির বিজ্ঞাপন দিতেন। দুই বছর ধরে তিনি এ কাজ করতেন। রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে ভেজাল খাদ্য তৈরির কাঁচামাল ও লোগো সংগ্রহ করতেন।
পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সাধারণত ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ায় মানুষ স্যালাইন খায়। নকল স্যালাইন খেলে এই ঘাটতি পূরণ হয় না। এসব নকল স্যালাইন খেলে মানুষের হার্ট, যকৃৎ নষ্ট হয়ে মারা যেতে পারে। এ ছাড়া মস্তিষ্ক, কিডনি ও হার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।