বৃহঃস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দীপ্ত টিভির কর্মকর্তাকে হত্যার ঘটনা যে তথ্য দিলো পুলিশ

সুজন হাসান | প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৮

সংগ্রহীত

রাজধানীর হাতিরঝিলে মহানগর প্রজেক্টে ফ্ল্যাটে ঢুকে মারধর করে তানজিল জাহান ইসলাম তামিম (৩২) নামের এক প্রকৌশলীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল দীপ্ত টিভির সম্প্রচার বিভাগের কর্মকর্তা। গতকাল বৃহস্পতিবার মহানগর প্রজেক্টের ৪ নম্বর রোডের ডি ব্লকে একটি বাড়ির আটতলায় ঘটনাটি ঘটে।

জমির মালিক ও প্লেজেন প্রোপার্টি লিমিটেডের মধ্যে ভবন নির্মাণের চুক্তি ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের রেজিস্ট্রেশন হওয়ার পরেও ডেভেলপার তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে। এই ভবনের একটি ফ্ল্যাট কেনেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কর্মকর্তা মো. মামুন। এই নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। ফ্ল্যাটটি ডেভেলপার জমির মালিককে বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

বৃহস্পতিবার সকালে জমির মালিক ভবনের সাত তলায় নিজের ফ্ল্যাটে কাজ করতে যান। মামুনের সহযোগিতায় ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল লতিফসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা ও জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম তামিমের ওপর হামলা করে। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় তামিমকে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শুক্রবার (১১ অক্টোবর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. রুহুল কবির খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ডেভেলপার জমির মালিককে ফ্ল্যাটটি বুঝিয়ে দেওয়ার পরেও তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করে দেয়। এটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার সকালে জমির মালিক ভবনের সাত তলায় নিজের ফ্ল্যাটে কাজ করতে যায়। মামুনের সহযোগিতায় ডেভেলপার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল লতিফসহ ২০ থেকে ২৫ জনকে নিয়ে দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা ও জমির মালিকের ছেলে তানজিল জাহান ইসলাম তামিমের ওপর হামলা করে। আহত অবস্থায় তামিমকে মনোয়ারা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, “এ ঘটনায় নিহতের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আমরা অভিযান চালিয়ে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. আব্দুল লতিফ (৪৬), মো. কুরবান আলী (২৪), মাহিন (১৮), মোজাম্মেল হক কবির (৫২) ও বাঁধন (২০)।

বিএনপির প্রভাবশালী নেতা ডেভেলপার কোম্পানির মালিকের ইন্ধনে তার লোকজন হামলা করে বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। এছাড়া এ ঘটনায় মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের এক কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ডিসি তেজগাঁও বলেন, “আমরা রাজনৈতিক পরিচয় দেখছি না। আমরা অপরাধ ও অপরাধী হিসেবে দেখছি। সে যে-ই হোক, তার দায় থাকলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে আমরা চার্জশিট দেব। আমরা প্রাথমিকভাবে তার সম্পৃক্ততা পাচ্ছি। এ ঘটনায় কার কী ভূমিকা ছিল তা তদন্তে উঠে আসবে। এ ছাড়া মাদকের ওই কর্মকর্তাকে মামলার ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে। আমরা তার সম্পৃক্ততার বিষয় তদন্ত করে দেখব। বিএনপি নেতা রবিউল ৩ নম্বর আসামি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জমির মালিকের সঙ্গে ডেভেলপার কোম্পানির দ্বন্দ্ব। সুতরাং তার তো দায়ই থাকবে। বাকিটা তদন্তে উঠে আসবে।” এই ঘটনায় রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় পুলিশ ব্যবস্থা নেয় নি- এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবীর বলেন, “হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)কে দায়িত্বে অবহেলায় ইতোমধ্যে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তার অবহেলা পেয়েছি।”




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top