রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১

চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:১২

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী বাস যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তাররা হলো- মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মহিত (২৯),শরীয়তপুর জেলার জাজিরা থানার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের ইসমাইল মোল্লার ছেলে মো. সবুজ (৩০) এবং ঢাকা জেলার সাভার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের টান গেন্ডা গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মো. শরীফুজ্জামান ওরফে শরীফ।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানায়, ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে ২টা থেকে রাত ৪টা পর্যন্ত রাজশাহীগামী ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। শুক্রবার রাত ২টার দিকের বাসযাত্রী ওমর আলী মির্জাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় মির্জাপুর থানা পুলিশ ও টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাভার মডেল থানায় অভিযান চালায়।

শুক্রবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে সাভার মডেল থানার গেন্ডা এলাকা থেকে তিন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল সেট, ১টি ছুরি এবং নগদ ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানানো হয়, গ্রেপ্তাররা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। গ্রেপ্তার আসামি মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মহিতের বিরুদ্ধে সিরাজগড়ঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানায় ১টি ও সাভার মডেল থানায় ১টি বাস ডাকাতির মামলাসহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আহসান বলেন, গ্রেপ্তার সবুজ ও শরীফ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হয়েছে। অপরদিকে শহীদুর ইসলাম ওরফে মহিদুল ওরফে মহিতকে আরো জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন থাকায় তাকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হবে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top