ধর্ষণ মামলা: ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মামুনকে অব্যাহতি
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৬:২৭
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ধর্ষণ মামলার পর বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়কের দায়িত্ব থেকে হাসান আল মামুনকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্তে সংগঠনটির পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় পরিষদের দুজন যুগ্ম আহ্বায়ক তারেক রহমান ও রাফিয়া সুলতানা। কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের কাছে জমা দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ছাত্র অধিকার পরিষদ গণমানুষের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। নারীর প্রতি বৈষম্য ও নিপীড়ন দমন এবং নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় ছাত্র অধিকার সব সময়ই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে। তাই সংগঠনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা নিরূপণে এবং সুষ্ঠু ন্যায়বিচারের স্বার্থে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
গত রবি ও মঙ্গলবার রাজধানীর লালবাগ ও কোতোয়ালি থানায় ধর্ষণ, অপহরণ ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে চরিত্রহননের অভিযোগে নুরুল হক নুর ও তার ছয় সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দুটি মামলা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক ছাত্রী।
প্রথম মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ হাসান আল মামুনকে। দ্বিতীয় মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সংগঠনটির অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান সোহাগকে।
এছাড়া ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ মামলার তালিকায় আছেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি নাজমুল হুদা ও কর্মী আবদুল্লাহ হিল বাকি।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।