রাতের ভোটে জড়িতদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯:০৭
২০১৮ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, অপরাধমূলক অসদাচরণ, জাল-জালিয়াতি, দিনের ভোট রাতে করা এবং আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে’ সংসদ সদস্য নির্বাচনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) কমিশনের এ সিদ্ধান্তের কথা সাংবাদিকদের জানান দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ এসেছে। অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, পুলিশ-র্যাবসহ জড়িত সবার বিরুদ্ধেই অনুসন্ধান করা হবে।
দুদক সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম, যেমন দিনের ভোট রাতে করা, ব্যালট জালিয়াতি, কিছু কিছু কেন্দ্রে ৯০ শতাংশের বেশি ভোট দেখানো, ব্যাপক আর্থিক লেনদেন ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রার্থীকে জেতানো বিষয়ে দুদকে কিছু অভিযোগ জমা হয়েছে।
অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে প্রতিটি মহানগর, জেলা, বিভাগীয়, উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সব নেতা–কর্মী নিয়ে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, যেমন পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, র্যাবের প্রধান বেনজীর আহমেদ, পুলিশের সাবেক আইজিপি শহীদুল হক, প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিক, তৎকালীন জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, জেলা প্রশাসক, জেলা রিটানিং কর্মকর্তা, বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ সুপার, থানার অফিসার ইনচার্জ, জেলা/উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তার যোগসাজশের কথা উল্লেখ রয়েছে।
দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও, দেশি–বিদেশি গণমাধ্যমের প্রচারিত সংবাদ, নির্বাচনের ফলাফল তালিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।