তিন পার্বত্য জেলায় চাষ হবে কফি ও কাজুবাদাম

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২১, ২২:১৩

তিন পার্বত্য জেলায় চাষ হবে কফি ও কাজুবাদাম

দেশে কফি ও কাজুবাদামের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণে। মাত্র চার বছরের ব্যবধানে দেশে কাজুবাদাম আমদানি বেড়েছে ৩২ গুণ। কফি ও কাজুবাদাম দুটি-ই আমদানির মাধ্যমে দেশের চাহিদা পূরণ হয়।

সম্প্রতি পাহাড়ে এ দুই ফসল চাষের দেখা দিয়েছে দারুণ সম্ভাবনা। সরকারও পাবর্ত্য এলাকায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য হাতে নিয়েছে বিস্তর পরিকল্পনা। নেয়া হয়েছে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সমীক্ষা বলছে, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান— এই তিন পার্বত্য জেলায় কফি ও কাজুবাদাম চাষের জন্য উপযুক্ত অন্তত পাঁচ লাখ হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। এর মধ্যে ন্যূনতম দুই লাখ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম আবাদ করা গেলে বছরে একশ কোটি ডলারের বেশি আয় করা যাবে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়াবে প্রায় নয় হাজার কোটি টাকা।

বাকি জমির এক লাখ হেক্টরে মধ্যেও কফি আবাদ করা গেলে তা দেশের চাহিদা মিটিয়ে রফতানি করা যাবে বিদেশেও। এক লাখ হেক্টরে দুই লাখ টন কফি উৎপাদন সম্ভব, যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা।

কফি-কাজুবাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনা নিয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘পাহাড়ে কাজুবাদাম ও কফির উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং এসব ফসলের চাষ আরও ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছি। এটি করতে পারলে ওই এলাকার অর্থনীতিতে বিপ্লব ঘটবে। মানুষের জীবনযাত্রার মানের দৃশ্যমান উন্নয়ন হবে।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কাজুবাদাম ও কফির মতো অর্থকরী ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। আমরা বিনামূল্যে উন্নত জাতের চারা, প্রযুক্তি ও পরামর্শসেবা দিচ্ছি। গত বছর কাজুবাদামের এক লাখ ৫৬ হাজার চারা বিনামূল্যে কৃষকদের দেয়া হয়েছে; এ বছর তিন লাখ চারা দেয়া হবে।’


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top