শেয়ারবাজারে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন আজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩৫
টানা পাঁচ কার্যদিবস দরপতনের পর বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্যসূচক সামান্য বেড়েছে। তবে লেনদেনে অংশ নেওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে বেশি। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও। ডিএসই লেনদেন কমে দুই মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে গেছে।
এদিকে ডিএসইতে মূল্যসূচক কিছুটা বাড়লেও অন্য শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) পতন অব্যাহত রয়েছে। সূচক কমার পাশাপাশি বাজারটিতে যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। অবশ্য দুই বাজারেই দাম বাড়া বা কমার তুলনায় দাম অপরিবর্তিত থাকা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেশি।
এর আগে চলতি সপ্তাহের প্রথম চার কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়। চার কার্যদিবসের টানা দরপতনে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ১০৪ পয়েন্ট কমে যায়। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়। ফলে টানা পাঁচ কার্যদিবস পতনের মধ্যে থাকে শেয়ারবাজার।
এমন টানা দরপতনের কারণে তালিকাভুক্ত অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে (দাম কমার সর্বনিম্ন সীমা) চলে এসেছে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার সূচক কিছুটা বাড়লেও ফ্লোর প্রাইসের চিত্রে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। আগের মতোই অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম ফ্লোর প্রাইসে আটকে রয়েছে। এতে অনেকে লোকসানে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করলেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রি করতে পারছেন না।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, বৃহস্পতিবার অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হয়। ফলে শেয়ারবাজার খুলতেই ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যায়। লেনদেনের শুরুতে সূচক বাড়লেও ১০ মিনিটের মধ্যে সূচক ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। লেনদেনের প্রথম সাড়ে ৩ ঘণ্টায় বেশিরভাগ সময় সূচক ঋণাত্মক থাকে। তবে শেষ ২০ মিনিটের লেনদেনে বেশি কিছু প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দরপতন থেকে বেরিয়ে আসে। এতে পাঁচ কার্যদিবস পর সূচকের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলে।
বিষয়: শেয়ারবাজার
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।