বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২২:০৩
মোহসিন কবির
বীমা শিল্পের জন্য সবচেয়ে গর্বের বিষয়টি হলো- হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বীমা পরিবারের একজন সদস্য। যেটি হয়তো আমরা অনেকেই জানিনা। এমনকি আমারও এ সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিলোনা। কিন্তু বীমা শিল্প নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমি জানতে পারি।
বঙ্গবন্ধুর জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে রাজনীতিতে। তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মাঝে কিছুটা সময় তিনি চাকুরীতে ব্যয় করেছেন। আর সেই একমাত্র চাকুরীটি ছিলো বীমা কোম্পানীতে।
১৯৬০ সালের মার্চ বঙ্গবন্ধু ততকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীতে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন। বঙ্গবন্ধু অফিস করতেন বর্তমানে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের (ততকালীন জিন্নাহ অ্যাভিনিউ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রী কার্য্যালয়ের বিপরীতে। তিনি যে চেয়ার টেবিলে বসে অফিস করতেন সেসব আজও সাধারণ বীমায় সংরক্ষিত রয়েছে।
বীমা কোম্পানীতে তাঁর যোগদানের দিনটিকে সম্প্রতি জাতীয় বীমা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে এ বছরই প্রথমবারের মতো দিবসটি জাতীয়ভাবে দেশব্যাপী পালিত হয়। এর মাধ্যমে এই শিল্পকে একটি বিশেষ পেশা হিসেবে গুরুত্ব লাভের পাশাপাশি এ পেশার সবাইকে করেছে গৌরবান্বিত।
দেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং বীমা শিল্পের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু নানামূখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ৪৯টি বীমা কোম্পানীকে জাতীয়করণ করা হয়। দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে তিনি বীমা শিল্পের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছিলেন।
তাঁর সময়ে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স ন্যাশনালাইজেশন অর্ডার ১৯৭২ এবং দ্যা ইন্স্যুরেন্স কো-অপারেশন অ্যাক্ট ১৯৭৩ এর মতো মেীলিক আইনের মাধ্যমে বীমা খাতের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ১৯৭৩ সালের নভেম্নরে প্রতিষ্ঠা করা হয় বাংলাদেশ বীমা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একইবছর বঙ্গবন্ধু দেশের একমাত্র অ্যাকচুয়ারি শাফাত আহমেদ চৌধুরীকে লন্ডন থেকে ডেকে এনে কন্ট্রোলার অব ইন্স্যুরেন্স পদে নিয়োগ প্রদান করেছিলেন।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।