বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১

নেপালে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি

Nasir Uddin | প্রকাশিত: ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৫৪

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ থেকে আরও ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে রপ্তানি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে থিংকস টু সাপ্লাই ও লোড বাউন্ড লজিস্টিকসসহ কয়েকটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৬টি ট্রাকে করে আলু রপ্তানি করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মোমিন জানান, আমরা আজকে থিংকস টু সাপ্লাই নামের রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে পাঠিয়েছি। আলুগুলো রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকার। আমরা এর আগেও বেশ কয়েকবার নেপালে আলু রপ্তানি করেছি।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের কোয়ারিনটিন ইন্সপেক্টর উজ্জল হোসেন বলেন, ফ্রেস আলুগুলো পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর ও নীলফামী থেকে সংগ্রহ করে রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ১৬টি ট্রাকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে নিয়ে আসে। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ৩৩৬ মেট্রিক টন আলু নেপালে যায়। প্রতি ট্রাকে ২১ টন আলু ছিল। এ নিয়ে এ বন্দর দিয়ে জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারির ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কয়েক পর্যায়ে সর্বমোট ৪৬ ট্রাকে ৯৬৬ মেট্রিক টন আলু বাংলাদেশ থেকে বাংলাবান্ধা হয়ে নেপালে রপ্তানি করা হয়েছে।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সড়ক পথে ট্রানজিট সুবিধা থাকায় ব্যবসা ও পর্যটনে ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি করেছে স্থলবন্দরটি। স্থলবন্দরটিতে ৯৫ শতাংশই পাথর নির্ভর হলেও বাংলাদেশ থেকে বেশ কয়েকটি পণ্য রপ্তানি হচ্ছে ভারত ও নেপালে।

বন্দরটি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারত ও নেপালে পাট, ওষুধ, প্রাণ ও ওয়ালটনের পণ্য, জুস, মোটরসাইকেল এবং ব্যাটারিসহ নানা ধরনের পণ্য রফতানি হচ্ছে। অপরদিকে মসুর ডাল, গম, ভুট্টা, চিরতা, হাজমলা, যন্ত্রপাতি, প্লাস্টিক দানা, রেললাইনের স্লিপার, খইল, আদা ও চিটাগুড় আমদানি করা হয়।

১৯৯৭ সালে নেপালের সঙ্গে এক বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে প্রথম আমদানি-রফতানি শুরু হয়। ২০১১ সালে ভারতের সঙ্গে ও ২০১৭ সালে ভুটানের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top