ক্রেডিট কার্ডে ২০ শতাংশের বেশি সুদ নয় : কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২১:৪১
জেষ্ঠ্য প্রতিবেদক:
এখন থেকে ব্যাংকগুলো কোন অবস্থাতেই ক্রেডিট কার্ড গ্রাহকদের কাছ থেকে ২০ শতাংশের বেশি সুদ আদায় করতে পারবে না বলে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের সুদ হার নির্ধারণ করে সার্কুলারটি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ নির্দেশনা কার্যকর হবে।
এতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ৩ অগাস্ট ক্রেডিট কার্ড বিষয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে বলা হয়েছিল, ক্রেডিট কার্ডের সুদের হার সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের অন্যান্য ঋণের সুদের সর্বোচ্চ সুদহারের চেয়ে ৫ শতাংশের বেশি হবে না এবং এই সুদহার কেবল মাত্র অপরিশোধিত বকেয়া স্থিতির উপর প্রযোজ্য হবে।
ওই নীতিমালার নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডে নির্ধারিত সীমার সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ আগাম হিসেবে নগদ উত্তোলন করা যাবে এবং ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে গ্রাহককে কোনো আনসলিসিটেড ঋণ বা অন্য কোনো ঋণ দেওয়া যাবে না।
কিন্তু কোনো কোনো ব্যাংক সম্প্রতি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে বিভিন্ন নামে নগদে উত্তোলনযোগ্য বিভিন্ন ধরণের ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। এর ফলে ব্যাংকের ঋণ ঝুঁকি বৃদ্ধির পাশাপাশি ঋণের উপর ফ্ল্যাট রেটে অযৌক্তিকভাবে বেশি সুদ আরোপ/আদায় করছে। যা গ্রাহকের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করছে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাকুর্লারে আরো বলা হয়, কোনো কোনো ব্যাংক ক্রেডিট কার্ডের পরিশোধ না করা বিলের ওপর লেনদেনের তারিখ থেকেই সুদ আরোপ এবং পরিশোধ না করা বিলের বিপরীতে ‘প্রগ্রেসিভ রেটে’ বিলম্ব ফি আদায় করছে।
এসব অনিয়ম বন্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড লিমিটের বিপরীতে ঋণ সুবিধাসহ সুদ/মুনাফা যৌক্তিকীকরণ এবং গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর মধ্যে অন্যতম হলো- ক্রেডিট কার্ডের সুদ/মুনাফার ওপর ২০ শতাংশের বেশি সুদ নির্ধারণ না করা, কার্ডের বিল পরিশোধের জন্য নির্ধারিত সর্বশেষ তারিখের পরের দিন থেকে বিলের ওপর সুদ/মুনাফা আরোপ করা যাবে।
বিলম্বে পরিশোধিত কোনো বিলের বিপরীতে শুধুমাত্র একবার বিলম্ব ফি (অন্য যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেনো) আদায় করা যাবে।
এক্ষেত্রে কোনোভাবেই লেনদেনের তারিখ থেকে সুদ আরোপ করা যাবে না। বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী ক্রেডিট কার্ডের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা ছাড়া অন্য কোনো নামে নগদে উত্তোলনযোগ্য ঋণ সুবিধা দেওয়া যাবে না।
এছাড়া আগের নীতিমালার অন্যান্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এনএফ৭১/এমকে/২০২০
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।