রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

মৃৎশিল্পের ইতিহাস আছে; সমৃদ্ধি নেই

ডেস্ক রিপোর্ট | প্রকাশিত: ২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৫:২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পগুলোর অন্যতম বাহক মৃৎশিল্প। অনেকের মতে, ‘এটি শুধুমাত্র শিল্প নয়, আবহমান গ্রাম-বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্য।‘ মাটির নান্দনিক কারুকার্য ও বাহারি নকশার কারণে দেশে মৃৎশিল্পের চাহিদাও বেশ।

অনেকেই বংশ পরম্পরায় মাটির বাহারি তৈজসপত্র তৈরিতে দীর্ঘ সময় পার করছেন। হাতের সুনিপুণ দক্ষতায় নিত্য প্রয়োজনীয় মাটির বাসন-কোসন, সরা, সুরাই, হাঁড়ি-পাতিল, পেয়ালা, মটকা, পিঠা তৈরির ছাঁচ তৈরি করে চাহিদা যেমন মিটিয়েছেন তেমনি করে দেশের ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন মাটির কারিগরেরা। তবে কালের বিবর্তন ও প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতার কারণে এই শিল্প এখন বিলুপ্তির পথে।

আহবমান বাংলায় কয়েকশত বছর ধরে মৃৎশিল্পীরা তাদের হাতের দক্ষতা দেখিয়েছেন। তবে কাজের সেই জৌলুস ও ব্যস্ততা এখন আর নেই। বাঁচার তাগিদে অনেকেই বাপ-দাদার এই পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। কেউ কেউ ধরে রাখলেও নানা প্রতিবন্ধকতায় জর্জরিত।

দিন বদলের হাওয়ায় বদলে গেছে মৃৎ শিল্পের ঐতিহ্য। হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎ শিল্পের জৌলুস, ঐতিহ্য। প্রকৃতিতে ছোঁয়া লেগেছে আধুনিকতার। ক্রমেই মানুষ মৃৎ শিল্প থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। ফলে, মৃৎ শিল্পীরাও কাজ করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। বাজারে মূল্য হ্রাস, আয়-ব্যয়ের সঙ্গতি না থাকায় বেকার হয়ে অনেক মৃৎ শিল্পী ছুটছেন অন্য পেশায়।

তবে যুগের সাথে মানুষের চাহিদার তালিকায় ফের মৃৎশিল্প দখল করতে শুরু করেছে। আধুনিকতার ছোঁয়া খুঁজতে অনেকেই মৃৎশিল্প দিয়ে নিজের ঘর সাজাতে চান। তাই এই ধরনের পণ্যের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে। বাঙালির ঐতিহ্য এ শিল্পের সাথে মিশে আছে। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন মৃৎশিল্পীরা।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ঐতিহ্যময় মৃৎশিল্পের বাহারি পণ্যের দেশের বাইরেও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বিকল্প নিতে হবে। পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে এই শিল্প নতুন ভাবে যাত্রা শুরু করতে পারলে মাটির তৈজসপত্র রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব; যা দেশের অর্থনীতির বড় শক্তি হতে পারে বলেও মনে করেন অর্থনীতিবিদরা।

এনএফ৭১/এনএম/২০২০



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top