প্রবাসী কর্মীদের স্বার্থে ফ্লাইট অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে আটাব
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৭:২১
ছুটিতে আসা এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রবাসী কর্মীদের সময়মতো কর্মস্থলে যোগদানের স্বার্থে ফ্লাইট অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে আটাব।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারীদের জন্য ফ্লাইট অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়ে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সংস্থার সভাপতি মনসুর আহামেদ কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়,
"আপনারা অবগত আছেন যে, আটাব দেশের প্রায় ৩৫০০ সরকার নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সির একটি অলাভজনক সংগঠন। আটাব ৪২ বছর ধরে তার সদস্যদের কল্যাণে নিবেদিত। বিদেশগামী যাত্রীদের এয়ার টিকেট ও অন্যান্য বিষয়ে সহযোগিতা সহ দেশী-বিদেশী এয়ারলাইন্সগুলোর সাথে আটাব নিবিড় ভাবে কাজ করছে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগী সংস্থা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর কাজ হচ্ছে সকল Airlines-এর মাধ্যমে বিদেশ ভ্রমনেচ্ছুক যাত্রী এবং প্রবাসী কর্মীদের Airlines সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ, এয়ার টিকেট ইস্যু করা, ভ্রমণ ভিসা আবেদন সহ সংশ্লিষ্ট কাজে সহায়তা করা। তাছাড়া হজ লাইসেন্স প্রাপ্ত ট্রাভেল এজেন্সিগুলো হজ ও ওমরাহ সম্পাদনে যাবতীয় সহযোগিতা করে থাকে। Aviation সংশ্লিষ্ট সমস্ত কাজেই ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সংশ্লিষ্টতা থাকে বিধায় এভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রিতে কোন সমস্যার সৃষ্টি হলে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো সে সমস্যা সমাধানে জনকল্যানে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে। কারণ ট্রাভেল এজেন্সি ও এয়ারলাইন্সগুলো এক সাথে কাজ করে থাকে।
জাতির বৃহত্তর স্বার্থে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী ও নতুন ভিসা প্রাপ্তদের যাতায়াত সচল রাখার নিমিত্ত লকডাউনের মাঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ চলাচল রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনাদের মাধ্যমে সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের বর্তমান অস্বাভাবিক প্রাদুর্ভাবের কারণে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল, ২০২১ তারিখ পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। করোনামহামারী নিয়ন্ত্রনে সরকারের পদক্ষেপের সাথে সহযোগিতা করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা আমাদের সকলেরই দায়িত্ব। লকডাউনের সময়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ভ্রমণ পথে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী অনেক প্রবাসী ছুটি নিয়ে বা জরুরী প্রয়োজনে বর্তমানে দেশে অবস্থান করছেন এবং তাদের অনেকের ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হতে চলেছে। তারা এয়ারলাইন্সের টিকেট সংগ্রহ করে কর্মস্থলে গমনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন। তাছাড়াও অনেক নতুন কর্মী ভিসা প্রাপ্ত হয়ে কর্মস্থলে গমনের অপেক্ষায় রয়েছেন। নির্দিষ্ট সময়ে কর্মস্থলে যোগদান না করতে পারলে নিয়োগ কর্তা তাদের অনেকেরই ভিসা বাতিল করবেন।
প্রবাসীদের ছুটি শেষে নিজ কাজে সুষ্ঠু ভাবে ফিরে যাওয়া বা নতুন ভিসা নিয়ে কর্মে যোগদান করতে তাদের যাতায়াত চলমান রাখা অতীব প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। অন্যথায় তাদের চাকুরী হারানোর শঙ্কা রয়েছে। একজন প্রবাসীর আয়ের উপর তার পুরো পরিবার নির্ভরশীল। সঠিক সময়ে নিজ কর্মস্থলে গমন করতে না পারার কারনে তাদের কর্মচ্যুতি হলে তাদের পরিবার পথে বসার উপক্রম হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন সাধন করেছেন এবং করে চলেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশী তথা প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে বর্তমান সরকার বহুমুখী কল্যানমূলক কর্মসূচী নিয়েছেন। তাছাড়া বিশে^র বিভিন্ন দেশে আরও বেশি বেশি কর্মী প্রেরণের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ছুটিতে আসা প্রবাসী কর্মী এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত কর্মীদের সময় মত কর্মস্থলে পৌঁছানোর বিষয়টিও বর্তমান সরকার মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করবেন বলে আমরা দৃঢ় ভাবে বিশ^াস করি। লকডাউনের সময় যাদের ফ্লাইট র্নিধারিত ছিল বা যাদের ভিসা মেয়াদোত্তীর্নের পথে তারা সময়মত কর্মস্থলে পৌঁছাতে না পারলে ব্যক্তি, পরিবার এবং রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এছাড়া প্রবাসী কর্মীগণ যে সকল দেশে গমন করবেন বিশেষত সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ অনেক দেশ অদ্যাবধি বাংলাদেশী যাত্রী প্রবেশে কোন প্রকার বিধি-নিষেধ আরোপ করেনি। তাই প্রবাসী কর্মী যাত্রীদের নিজ গন্তব্যে গমনের জন্য লকডাউনের মাঝে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটসমূহ সচল রাখতে আপনাদের মাধ্যমে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ ও বিশেষ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।"
এনএফ৭১/ ২০২১
বিষয়: আটাব
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।