কোন আইনে আছে নারী টিপ পরতে পারবে না
বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২২, ০৪:১৭
টিপ পরে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তেজগাঁও কলেজের এক নারী প্রভাষক। এর পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় বইছে। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদে মুখর আওয়ামী লীগের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য, অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা। ওই ইভটিজার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থার দাবি তুলেছেন তিনি।
রোববার (৩ এপ্রিল) সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে বিশেষ করে নারী সমাজের জন্য অত্যন্ত ঘৃণিত একটি ঘটনা। আমরা শুনে এসেছি, বখাটে ছেলেরা স্কুলের বাচ্চাবাচ্চা মেয়েদের ইভটিজিং করে। সেই পরিস্থিতি এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু আমি যখন দেশের আইনরক্ষাকারী কাউকে ইভটিজিংয়ের ভূমিকায় দেখি, তখন সেটা আমাদের সবার জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক।’
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘বাংলাদেশের কোন সংবিধানে, কোন আইনে লেখা আছে যে একজন নারী টিপ পরতে পারবে না। এখানে হিন্দু-মুসলমান, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধ এমনকি সে বিবাহিত না বিধবা সেটা বিষয় নয়, একটি মেয়ে টিপ পরেছে। তিনি একজন শিক্ষক। রিকশা থেকে নামার পর দায়িত্বরত পুলিশ অফিসার তাকে টিজ করেছে।’
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে সুবর্ণা মুস্তাফা বলেন, ‘যে মন্ত্রণালয় এই বিষয়টি দেখা-শোনা করে তারা যেন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে।’
শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর গ্রীন রোডের বাসা থেকে কলেজে যাচ্ছিলেন ড. লতা সমাদ্দার। এ সময় হুট করে পাশ থেকে মধ্যবয়সী একজন ‘টিপ পরছোস কেন’ বলেই বাজে গালি দেন তাকে। ওই ব্যক্তির পরনে পুলিশের পোশাক ছিল। প্রতিবাদ জানাতে গেলে উল্টো প্রভাষকের পায়ের ওপর দিয়ে বাইক চালিয়ে চলে যান ওই ব্যক্তি। এরপর শেরে বাংলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ড. লতা সমাদ্দার।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: বাংলাদেশের সংবিধান পুলিশ ইভটিজিং
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।