চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুজব—ফেসবুক পোস্টে জানালেন সত্য
ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৫১

জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার দ্বিতীয় সংসার ভাঙার গুজব সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এসব গুঞ্জনের জবাব দিয়েছেন পূর্ণিমা নিজেই। বুধবার বিকেলে ফেসবুকে স্বামী আশফাকুর রহমান রবিনের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করে এই গুজবকে মিথ্যা প্রমাণ করেন তিনি।
ছবিতে দেখা যায়, একটি রেস্তোরাঁয় স্বামীর হাত ধরে বসে আছেন পূর্ণিমা। ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সে মুহূর্ত প্রকাশ্যে আনতেই যেন এই পোস্ট। এক ছবিতেই পরিষ্কার হয়ে গেছে—পূর্ণিমা ও রবিন এখনো একসঙ্গেই আছেন, বিচ্ছেদের খবর স্রেফ ভিত্তিহীন গুজব।
পূর্ণিমা ২০২২ সালে আশফাকুর রহমান রবিনকে বিয়ে করেন। পেশায় তিনি একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। পড়াশোনা করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কাজের সূত্র ধরেই পূর্ণিমার সঙ্গে তার পরিচয়, তিন বছরের বন্ধুত্ব থেকে প্রেম, এরপর বিয়ে।
এর আগে, পূর্ণিমা ২০০৭ সালে আহমেদ জামাল ফাহাদকে বিয়ে করেছিলেন। ২০১৪ সালে তাদের ঘরে আসে এক কন্যাসন্তান। তবে সেই দাম্পত্যে ফাটল ধরে এবং ২০২২ সালে দ্বিতীয় বিয়ের খবর জানানোর পর পূর্ণিমা ফাহাদের সঙ্গে প্রায় আড়াই থেকে তিন বছর আগে বিচ্ছেদের কথা জানান।
তবে পূর্ণিমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জল্পনা শুরু হয় যখন তিনি সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্টে লেখেন—“মানুষের ভিড়ে কিছু মুখ থাকে, যাদের আমরা আপন ভেবে হৃদয়ের দরজা খুলে দিই। কিন্তু সময়ের কঠিন পরীক্ষায় টের পাই—তারা আসলে সম্পর্কের আবরণে লুকিয়ে থাকা বিষধর সাপ।” এরপর আরও লেখেন, “মিথ্যা সম্পর্কের ভিড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলার চেয়ে নিঃসঙ্গতা অনেক বেশি শান্ত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ।”
এই পোস্ট থেকেই অনেকেই ধারণা করেছিলেন, হয়তো তার দ্বিতীয় সংসারেও টানাপোড়েন চলছে। কিন্তু সাম্প্রতিক ছবি পোস্ট করে পূর্ণিমা এসব জল্পনার অবসান ঘটালেন।
উল্লেখ্য, বিভিন্ন মাধ্যমে পূর্ণিমার আরও একটি বিয়ের খবর ছড়িয়ে পড়েছিল। বলা হয়ে থাকে, ২০০৫ সালের ৬ সেপ্টেম্বর তিনি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তাক কিবরিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। তবে সেই বিয়ের ব্যাপারে পূর্ণিমা কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেননি।
পূর্ণিমার জীবনের নানা অধ্যায় যেমন দর্শকদের কৌতূহলী করে তুলেছে, তেমনি তাঁর ব্যক্তিত্ব, সাহসিকতা ও স্পষ্ট অবস্থানও প্রশংসিত হয়েছে বহুবার।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।