বৃহঃস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন ঋতাভরী

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ২১:১২

সংগৃহীত

টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী শুধু রূপালি পর্দায় নয়, ছোট পর্দা ও ওয়েব সিরিজের জগতেও তার অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকের মন জয় করেছেন। তবে ক্যারিয়ারের পাশাপাশি তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে মা-বাবার বিচ্ছেদ নিয়ে বহুদিন ধরেই চর্চা চলে আসছে। এবার সেই বিষয়ে খোলাখুলি কথা বললেন অভিনেত্রী।

‎সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ‘স্টে আপ উইথ শ্রী’ অনুষ্ঠানে ঋতাভরী জানান, যখন তার বয়স মাত্র চার, তখন আলাদা হয়ে যান তার বাবা উৎপলেন্দু চক্রবর্তী ও মা শতরূপা সরকার (বর্তমানে শতরূপা সান্যাল)। ঋতাভরীর ভাষায়, “বাবা-মায়ের আলাদা হয়ে যাওয়া আমার ছোটবেলার বাস্তবতা ছিল। কিন্তু আমি মানিয়ে নিয়েছিলাম। দাদুর বাড়িতে গিয়ে থাকতে আমার কোনো অসুবিধা হয়নি, কারণ সেই বাড়ির পরিবেশ আমার কাছে অপরিচিত ছিল না।”

‎অভিনেত্রী বলেন, “মাকে কখনও হাউমাউ করে কাঁদতে দেখিনি, কিন্তু দুই বাড়ির জীবনে কতটা কষ্ট লুকিয়ে রাখা যায়, তা আমি বুঝেছি। যা শোনার ছিল, তা কানে এসেছে, যা বুকে লাগার ছিল, তা লেগেছে।”

‎সাক্ষাৎকারে নিজের শৈশবের একটি ঘটনার কথাও তুলে ধরেন তিনি। ছোটবেলায় কেউ একজন তাকে সহানুভূতির সুরে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘তোমার বাবার কথা মনে পড়ে না?’ উত্তরে ঋতাভরীর সোজাসাপটা উত্তর ছিল—“আমার মায়ের নামও শতরূপা সান্যাল, আমার বাবার নামও শতরূপা সান্যাল।”

‎অনেকে তার এই বক্তব্যকে বাবার প্রতি অবজ্ঞা হিসেবে ব্যাখ্যা করলেও, সেই ধারণা একেবারে নাকচ করে ঋতাভরী বলেন, “আমি কখনও আমার বাবাকে অস্বীকার করিনি। তবে আমি মায়ের কষ্টকে অস্বীকার করতে পারি না। কেউ যদি মাকে কষ্ট দেয়, তাকে আমি মাথায় করে রাখতে পারব না।”

‎ব্যক্তিগত জীবনের এমন খোলামেলা ও সাহসী শেয়ারিং-এ ভক্তদের প্রশংসায় ভাসছেন ঋতাভরী। অনেকেই বলছেন, তার এই পরিণত দৃষ্টিভঙ্গি ও মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা তাকে আরও অনন্য করে তুলেছে।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top